

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি বিতর্কিত ভিডিওকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান খান তিন টিকটকারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
পরে স্থানীয়রা তিনজনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সুপারিশে ঘটনায় জড়িত তিন টিকটকারকে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে ধারণ করা ২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গত ১৫ ডিসেম্বর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি ছেলে স্কেটিং করতে করতে ভ্যানে চলাচলরত এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। একপর্যায়ে মেয়েটির সঙ্গে থাকা ব্যাগ দিয়ে ছেলেটিকে আঘাত করা হলে ওই ছেলে মেয়েটিকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে। ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেটিজেনরা।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনা দেখা দেয়। অনেকেই এ ধরনের ভিডিও নির্মাণকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ঘটনার পরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান খান বলেন, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারণ করা হয়। ভিডিও ধারণ করেন রোমান। স্কেটিং করা যুবকের ভূমিকায় ছিলেন রাকিব হাসান (২০) এবং মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন হানিফ (২০)। হানিফ ও রোমান আপন দুই ভাই। তাদের বাড়ি নারায়ণডহর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথাকথিত ‘ফানি ভিডিও’ তৈরি করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়। যদিও ভিডিও নির্মাতাদের দাবি, এটি বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল, তবে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. দিদারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার অভিযুক্তরা মুচলেকা দিলে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন