

অফিসে কাজ শুধু ফাইল, মিটিং বা ডেডলাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এখানে মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্কও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা না ভেবেই এমন কিছু কথা বলে ফেলি, যা সহকর্মীকে কষ্ট দেয় বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে।
আর ছোট একটি মন্তব্যও পুরো টিমের পরিবেশ নষ্ট করে দিতে পারে। তাই কথা বলার সময় একটু ভাবা দরকার—আমি যা বলছি, তা কি অন্যের মনে আঘাত করবে না তো?
আরও পড়ুন : ডিম কি হার্টের জন্য ক্ষতিকর
আরও পড়ুন : বাঁধাকপি-ফুলকপি কি থাইরয়েডের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর
এখন চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন ১০টি কথা, যেগুলো সহকর্মীদের সঙ্গে বলা একদমই উচিত নয়।
এটা আমার কাজ নয়
দায়িত্ব সীমা থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সরাসরি এভাবে বললে আপনি অসহযোগী মনে হতে পারেন।
তার বদলে বলতে পারেন — দেখি, আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি। তবে এটা আমার কাজের মধ্যে পড়ে কি না নিশ্চিত নই। আমরা কি একসাথে দেখে নিতে পারি?
এতে সহযোগিতার মনোভাবও দেখায়, আবার দায়িত্বের বিষয়টাও পরিষ্কার থাকে।
এটার জন্য আমার সময় নেই
এই কথা সহকর্মীকে অবহেলিত মনে করাতে পারে।
ব্যস্ত থাকলে ভদ্রভাবে বলতে পারেন—আমি এখন X প্রজেক্টে ব্যস্ত। আমরা কি দুজনের সুবিধাজনক একটা সময় ঠিক করতে পারি?
এটা কখনোই কাজ করবে না
এভাবে সরাসরি না বললে মানুষের আগ্রহ কমে যায়।
তার বদলে বলুন — আইডিয়াটা ভালো, তবে যদি একটু বদলানো যায় তাহলে হয়তো আরও কার্যকর হবে।
আপনি সবসময়…
‘সবসময়’ শব্দটি অভিযোগের মতো শোনায়।
এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট করে বলুন — শেষ দুই প্রজেক্টে আমরা এই সমস্যায় পড়েছি। এবার কি আমরা আগে থেকে প্ল্যান করতে পারি?
আমি এই লোকটার সঙ্গে কাজ করতে চাই না
ব্যক্তিগত মন্তব্য টিমের পরিবেশ নষ্ট করে।
ভদ্রভাবে বলতে পারেন — কিছু জায়গায় একটু সমস্যা হচ্ছে। আমরা কি ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে সমাধান খুঁজতে পারি?
আমি শুধু সত্যিটা বলছি
কটু কথা বলা সত্য বলার অজুহাত হতে পারে না।
এর বদলে বলুন — আমি আমার মতটা শেয়ার করতে চাই। চাইলে আমরা একসাথে আরও ভালো উপায় খুঁজে নিতে পারি।
এটা ন্যায়সংগত নয়
শুধু অভিযোগ করলে সমস্যা বাড়ে।
বলতে পারেন — কাজের ভাগটা কি একটু ব্যালেন্স করা যায়? তাহলে সবার জন্য সহজ হয়।
আমি শুনেছি…
গুজব ছড়ানো টিমের বিশ্বাস নষ্ট করে।
তার বদলে বলুন— এটা মিটিংয়ে পরিষ্কার হবে। যাচাই না করে কিছু বলা ঠিক হবে না।
আপনি বুঝবেন না
এটা সরাসরি অপমানজনক।
এর পরিবর্তে বলুন— আমি একটু ব্যাখ্যা করি, তাহলে আমাদের দুজনেরই বুঝতে সুবিধা হবে।
এটা আমরা সবসময় এভাবেই করি
এভাবে বললে নতুন চিন্তা আটকে যায়।
বলুন— চাইলে আমরা একটা নতুনভাবে চেষ্টা করতে পারি। হয়তো আরও ভালো ফল আসবে।
আরও পড়ুন : ঘুমের মধ্যেও হতে পারে হার্ট ফেইলিওর
আরও পড়ুন : রোজ লবঙ্গ খেলে যেসব উপকারিতা পাবেন
অফিসে সবাই ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন অভ্যাস আর ভিন্ন মত নিয়ে কাজ করে। তাই কথাবার্তায় যতটা সম্ভব সতর্ক থাকা জরুরি। আমরা কী বলছি, কেমনভাবে বলছি—এই দুইটাই কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে অনেক প্রভাবিত করে। সম্মান, সৌজন্য আর সহযোগিতা—এই তিনটি যদি বজায় রাখা যায়, তাহলে টিমও শক্তিশালী হয়, আর কাজও সহজ হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন