

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ডাগআউটে কাজ করছেন নিয়াজ খান। আগের আসরে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে যুক্ত থাকলেও এবার তিনি সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন দল মাত্র তিন ম্যাচ খেলতেই তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন, আর সেখান থেকেই বিষয়টি পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের টেবিলে।
নিয়াজ খান নিজেকে বহুবার বড় পর্যায়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বলে দাবি করে এসেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের ক্রিকেট কাঠামোতে প্রতিভা খোঁজার কাজ করেছেন, এমনকি এশিয়া কাপের সময়ও তাদের সঙ্গে ছিলেন। তবে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এই দাবির সত্যতা অস্বীকার করেছে। এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়েছে বিসিবি এবং অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বাধীন ইন্টিগ্রিটি ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিসিবির অধীনে একটি স্বতন্ত্র ইন্টিগ্রিটি কমিটি কাজ করছে এবং তারা ইতিমধ্যেই একাধিক দলের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও দিয়েছে। প্রয়োজনে দলের স্বার্থে কাউকে ডাগআউট বা টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে সরিয়ে দেওয়ার মতো পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ধরনের বিষয়কে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই এবং বোর্ড ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই এগোচ্ছে। ক্রিকেটের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।
নিয়াজ খানকে ঘিরে তৈরি হওয়া স্পষ্টতা এবং বিসিবির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেট মহলে আলোচনা থেকে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন অনেকে।
মন্তব্য করুন