ছোটোবেলায় ঘুমাতে যাওয়ার সময় ভাই-বোন কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে খুনসুটি হওয়া মোটেও অস্বাভাবিক কিছু নয়। কোনো কোনো সময় এই খুনসুটি পরিণত হয় মারামারিতে। আর এই মারামারিতে একে অপরকে আঘাত করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় বালিশ। মিষ্টি এ যুদ্ধে বালিশ ছিঁড়ে গেলেও পক্ষ ও প্রতিপক্ষ কেউ কিন্তু শারীরিকভাবে খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হোন না। ছেলেবেলার এই দুষ্ট-মিষ্টি খেলা যদি আন্তর্জাতিকভাবে আয়োজিত হয় তবে কেমন হয়!
আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক বালিশ যুদ্ধ দিবস। ২০০৮ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বালিশযুদ্ধ খেলার আয়োজন করে ‘পিলো ফাইট ক্লাব’ নামে একটি সংগঠন। ফাইট ক্লাব নামের অভূতপূর্ব একটি ফিল্ম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় পিলো ফাইট ক্লাব সংগঠন।
পিলো ফাইট ক্লাব প্রথমে লন্ডন, সান ফ্রান্সিসকো ও নিউইয়র্ক সিটির মতো শহরগুলোতে শুরু হলেও এখন এটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম শনিবার আন্তর্জাতিক পিলো ফাইট দিবস পালিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বালিশ–যুদ্ধের পেশাদার চ্যাম্পিয়নশিপ। আয়োজনটি বেশ জমেও ছিল। এই খেলার আনন্দ আছে, কিন্তু আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
পিএফসির প্রধান উইলিয়ামস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, এই প্রতিযোগিতা কিন্তু তেমন নয় যে, আপনি হাসতে হাসতে বালিশের লড়াইয়ে নামবেন আর চারদিকে পাখির পালক উড়বে। এটা খুবই সিরিয়াস একটা খেলা। বিশেষ কায়দায় তৈরি করা বালিশ নিয়ে লড়ার বিশেষ কৌশলের লড়াই।
ইতিহাস খুঁজে জানা যায়, ৭০০০ অব্দে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় বসবাসকারী লোকেরা প্রথম বালিশ ব্যবহারের প্রচলন করেছিলেন। তখন কেবল ধনীরাই বালিশ ব্যবহার করলেও বর্তমানে সর্বস্তরের মানুষের বেডরুমে শোভা পাচ্ছে বাহারি ধরনের বালিশ। সেই সঙ্গে বালিশ নিয়ে মারামারি অর্থাৎ বালিশযুদ্ধ প্রতিযোগিতাও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পালক বালিশ ব্যবহার করে খেলাটি অনেক বেশি মজাদার ও উৎসাহমূলক হলেও, পশু-পাখির কল্যাণের কথা ভেবে কিছু বালিশ লড়াই সংগঠক অনুরোধ করেন, পালকের বালিশ ব্যবহার না করতে।
সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার
মন্তব্য করুন