কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দিনভর পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আহত হয়ে সাংবাদিক, পুলিশ, শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ অন্তত ৫০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) অন্তত ৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে তারা চিকিৎসা নেন। তাদের মধ্যে শনিরআখড়ায় গুলিবিদ্ধ ছয়জন রয়েছেন। পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত হন তারা।
ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, তারা জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিরআখড়া থেকে গুলিবিদ্ধরা হলেন সোহাগ (২৭), ফয়সাল (২৮), মাহিম আহামেদ পিয়াস (১৫), মনিরুল (২০), শিশু রহিদ (২) এবং কাঁচামাল ব্যাবসায়ী বাবা বাবলু ওরফে বাবু মিয়া (৪০)।
এর আগে, সকাল থেকে আহত হয়ে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে ব্শে কয়েকজন সাংবাদিক রয়েছেন। তারা হলেন সাংবাদিক, তারেক (২৫), হাবিব (৩০), জীবন (২৫), সোলাইমান (২৬), ভাস্কর ভাদুরী (৩৮), জনি রায়হান (৩৩), আকরাম, রতন (৪০) এবং হুমায়ুন (৩৫)।
এ ছাড়া আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। এসআই ইব্রাহিম (৩২) নামের ওই পুলিশ সদস্য আজিমপুর এলাকায় রিকশায় থাকা অবস্থায় ইটের আঘাতে আহত হন।
এ ছাড়া আরও যারা আহত হয়েছেন তারা হলেন কাউছার (২০), অলিউল্লাহ (২৭), নাঈম (২৪), সাইদুল (২৬), ইকবাল (৫০), সোহাগ (২৮), লিমন (১৫), মিজান (২০), ফেরদৌস (৪০), কবিতা (৪৫), নাসরিন (৪৮), রহিমা (৫০), বিজয় (২৪), রিপন (৩৯), দীল আফরোজ (৩০), আব্দুল হাদি (২১), মো. মাসুদ (২১), শিক্ষার্থী তানজিল (২৭), অজানা (৩২), জাকির(২২), জহিরুল (২৬), আসাদুজ্জামান (২৩), মেহেদী হাসান (২৫), জাওয়াদ (২০), মাসুদ (২৪), আব্দুল হান্নান (২৪), আফসানা জুই (২৩), তানজিলা (২২), সিহাব উদ্দিন(৩০), আসিফ (২২), তাহমিদ (২৫), ভৌমিক (২৯) শাকিব (২০) এবং আরিফুল (৪২)।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা হলেন পথচারী কাওসার (২০), শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ (২৭), আশরাফ আলম (৩২), তানজিল (২৭) এবং গুলিবিদ্ধ ফয়সাল (২৮)।
মন্তব্য করুন