কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট : ০২ জুলাই ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা, প্রাণহানি ঘটতে পারে ৩ লাখ মানুষের

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

জাপানে ভয়াবহ ‘মেগাক্যুয়েক’ বা বিশাল ভূমিকম্পের সম্ভাবনায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দেশটির সরকারের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প ও তার পরবর্তী সুনামিতে প্রায় ২,৯৮,০০০ মানুষ মারা যেতে পারেন, আর ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে দুই ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী ‘নানকাই ট্রাফ’ এলাকায় এ ধরনের একটি বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। আর এমনটা ঘটার সম্ভাবনা প্রায় ৭৫ থেকে ৮২ শতাংশ।

জাপান সরকার জানিয়েছে, ২০১৪ সালে দুর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনার আওতায় যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা সম্ভাব্য প্রাণহানি মাত্র ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারবে। অথচ পরিকল্পনা অনুযায়ী মৃত্যুর হার কমানো উচিত ছিল ৮০ শতাংশ পর্যন্ত।

এই পরিস্থিতিতে জাপান সরকার নতুন করে একটি হালনাগাদ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশজুড়ে বাঁধ নির্মাণ, জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিয়মিত মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা এক সরকারি বৈঠকে বলেন, ‘প্রাণহানি কমাতে হলে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারি সংস্থা ও সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

নানকাই ট্রাফ হলো ৫০০ মাইল দীর্ঘ একটি সমুদ্রতলীয় খাত, যেখানে একটি টেকটোনিক প্লেট আরেকটির নিচ দিয়ে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। গত ১,৪০০ বছরে এই অঞ্চলে প্রতি ১০০ থেকে ২০০ বছর পর পর বড় ভূমিকম্প ঘটেছে। সর্বশেষ মেগাক্যুয়েক হয়েছিল ১৯৪৬ সালে।

২০২৩ সালের আগস্টে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) প্রথমবারের মতো সতর্কবার্তা জারি করলেও এক সপ্তাহের মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক রিপোর্টগুলো নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থার প্রধান রিওইচি নোমুরা বলেন, বর্তমান বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি দিয়ে ভূমিকম্পের নির্দিষ্ট সময়, স্থান বা মাত্রা পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জনসাধারণকে অহেতুক আতঙ্কিত না হয়ে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে জাপানে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং ১৩২ ফুট উচ্চতার সুনামি প্রায় ১৫,৫০০ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। এই দুর্যোগে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩টি চুল্লি বিধ্বস্ত হয় এবং ব্যাপক তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, নানকাই ট্রাফে যদি এবার মেগাক্যুয়েক হয়, তবে তা ২০১১ সালের ভূমিকম্পের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। জাপানের সরকার ও জনগণের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ—এই সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত হওয়া।

সূত্র : ডেইলি মেইল

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘুম থেকে উঠে আগে পানি খাবেন, না ব্রাশ করবেন—জানালেন চিকিৎসক

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে ইন্টার্ন করার সুযোগ

পুয়ের্তো রিকোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আর্জেন্টিনার জয়

চীনকে ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ ভারতের

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

১০

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

১১

মার্কারের পরিবর্তে চক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে ডিবিএল সিরামিকস ‘টাইলচক’ 

১২

বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

১৩

হোয়াইটওয়াশ লজ্জায় বাংলাদেশ, একশও ছুঁতে পারলেন না মিরাজরা

১৪

হাটহাজারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা নিহত

১৫

জাল সনদে ১৮ বছর শিক্ষকতা, জেনেও ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ

১৬

ইলিয়াস কাঞ্চনের অসুস্থতায় শাবনূরের আবেগঘন বার্তা

১৭

যুদ্ধের উসকানি দিয়ে শান্তির প্রতীক হওয়া যায় না, ট্রাম্পকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৮

বাবার সঙ্গে আলোর শেষ কথা—আমরা আটকে গেছি

১৯

লাইভে এসে সংসদ ভেঙে দিলেন পালিয়ে যাওয়া মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

২০
X