কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
সোমবার (৫ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ছাত্ররা প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। কিন্তু একটা ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ওপর কঠিনভাবে দমনপীড়ন চালায়। এবং শত শত মানুষকে তারা হত্যা করে। আমরা যখন এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইলাম তখন তারা আমাদের ওপর এই দায় চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়। তারপর এদেশের ছাত্রজনতা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করে।
মাসুদ বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার যখন বিদায় নিল তখন তার অনুসারীরা দেশব্যাপী সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। তারা বিশ্বের কাছে দেখাতে চাইছে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এই দেশে হাজার বছর ধরে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে আসছে। একটা চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। তারা যখন পরাজিত হয়েছে তারা এ দেশের ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যার সঙ্গে এ দেশের ছাত্রজনতার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, আমরা এখন থেকে বলছি এই মুহূর্তের পর দেশের আর কোথাও হামলা হবে না। কোথাও আগুন জ্বলবে না। আমাদের কোনো প্রতিশোধ নেই। আমরা সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করে দিলাম। যারা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থাপন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের বিচার করবে।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখার কথা জানিয়েছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। রাত ৯টায় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় একথা জানান তিনি।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্য সমন্বয়েকরা। এ সময় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এই অভ্যুত্থানকে শহীদ ছাত্র-জনতাকে উৎসর্গ করছি।
মন্তব্য করুন