কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সারের মজুত আছে ডিসেম্বর পর্যন্ত : কৃষি সচিব

ইউরিয়া সার। ছবি : সংগৃহীত
ইউরিয়া সার। ছবি : সংগৃহীত

দেশে ইউরিয়া-নন ইউরিয়া সারের যে মজুত রয়েছে তা দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সার নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ নেই।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।

এ সময় বিএআরএফ-এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আজম, অর্থ সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক আহমাদ আরিফ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক শওকত আলী পলাশ, কার্যনির্বাহী সদস্য মুন্না রায়হান ও হরলাল রায় সাগর উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিসচিব বলেন, সারের বর্তমান মজুদ দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মেটানো যাবে। তবে সার আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখনো কিছুটা সংকট রয়েছে, যেটা আমরা সমাধানে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে ৪ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিকন টন ইউরিয়া, ৩ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি, ৩ লাখ ৫৭ হাজার টন ডিএপি এবং ৪ লাখ ৩৭ হাজার টন এমওপি সার রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কয়েকটি ধাপে প্রণোদনা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান কৃষি সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান।

তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের সহায়তার জন্য এখন পর্যন্ত ১৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি, যা কয়েকটি ধাপে কৃষি পুনর্বাসনে ব্যবহার করা হবে। ২৩টি জেলার ১৪ লাখের বেশি কৃষক এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূলত ১১টি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রণোদনার বেশিরভাগই এই জেলাগুলোর কৃষকদের টার্গেট করেই দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব জেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোর কৃষি বিভাগের যত অব্যবহৃত জায়গা রয়েছে সব জায়গায় রোপা আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যা আমন চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

পুনর্বাসনের আওতায় ৯টি জেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৮০ হাজার কৃষককে এক বিঘা জমি চাষের জন্য বিনামূল্যে রোপা আমনের উফশী জাতের বীজ, সার সহায়তা (১০ কেজি) এবং মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ১ হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হবে বলে জানান সচিব।

তিনি বলেন, বসতবাড়িতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষের জন্য ২২টি জেলায় দেড় লাখ কৃষককে বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ ও এক হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হবে।

এদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে গত ১৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। যে পরিমাণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে তাতে করে ধান, সবজি, ফলমূল সহ প্রায় ১০ লাখ মে টন উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। টাকার অংকে এই ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজারর ৩৪৬ কোটি টাকা। বন্যায় মোট তিন লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ধানের বীজ, চারা, সার ও নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সেই অনুযায়ী পূনর্বাসনের জন্য আর কি কি কর্মসূচি নেওয়া যায় তা ঠিক করা হবে বলে জানান কৃষিসচিব।

বন্যার কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতিতে পড়বে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আগামী মৌসুমে বোরো উৎপাদনে কোনো সমস্যা না হলে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট হবে না। তাই এখন আমাদের টার্গেট আগামী বোরো মৌসুমে ভালো উৎপাদন করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্লেষণ / ইসরায়েলের ভয়াবহ তাণ্ডব, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন কি সম্ভব

৪ জেলায় চাকরি দিচ্ছে আরএফএল, পাবেন আবাসন সুবিধা

‘ফেসবুক মনিটাইজেশনের নেশায় ব্যক্তিত্ব হারাচ্ছে অনেকেই’

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৬ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ পুলিশ সদস্য নিহত

প্লাস্টিক পণ্যে ঝুঁকছে মানুষ, ঐতিহ্য হারাচ্ছে বাঁশ-বেতশিল্প

অবশেষে চালু হচ্ছে আল-নাসিরিয়াহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

অনেক কাজ করেছি, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো দিন হয়নি : আসিফ নজরুল

১৮ সেপ্টেম্বর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১০

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১১

১৮ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১২

পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

১৩

ভোট সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে রাকসু নির্বাচনে ৬ দাবি ছাত্রদলের

১৪

পুকুরে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

১৫

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

১৬

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

১৭

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

১৮

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

১৯

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

২০
X