সরকার পতনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৯ শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে সপদে বহাল করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাস জানান, পদত্যাগ করার জন্য নিয়মিত তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সন্ধ্যায় চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ঘুপ্টি ইউনিয়নের ঘুপ্টি গ্রামে তার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পালিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা জীবন বাঁচান। পরে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ফিরলেও তিনি এখনো ফিরতে পারেননি। চাকরি থেকে পদত্যাগ করার জন্য নিয়মিত তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক দিপংকর চন্দ্র শীল বলেন, সরকার পতনের পর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানো হচ্ছে। তারা এর নিন্দা জানান।
এ সময় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক জয় রায় বলেন, যদি কোনো শিক্ষক অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ঢালাওভাবে সাধারণ শিক্ষকদের হয়রানি করা হলে শিক্ষাব্যবস্থাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন