কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নির্বাচনী রোডম্যাপের ব্যাপারে জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, কমিশনগুলোর সংস্কার প্রস্তাবের পর নির্বাচনী রোড ম্যাপ তৈরি হবে। সংস্কারের পর প্রয়োজনীয় সময়ের চেয়ে এ সরকার বেশি দিন থাকবে না বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সমসাময়িক ইস্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নিজেদের স্বার্থে সুসম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ ভারত, আগামী মাসে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) সামিটে দুই সরকার প্রধানের দেখা হতে পারে। এ ছাড়া শিগগিরই সব ধরনের ভিসা চালু করবে ভারত।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক নেতাদের বিতর্কিত বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য।

পাকিস্তান ইস্যুতে তিনি বলেন, পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করলে ইসলামাবাদ-ঢাকা সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়া যাবে।

এ ছাড়া সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান তৌহিদ হোসেন।

বৈঠকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত আনার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। আমরা উভয়পক্ষ একমত হয়েছি, আমাদের পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন নিজেদের স্বার্থে। বিষয়টিতে বাংলাদেশের স্বার্থ আছে, ভারতেরও স্বার্থ আছে। কাজেই আমরা এই লাইনে কথাবার্তা বলেছি। আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করে পারস্পরিক যে উদ্বেগ আছে সমাধানের চেষ্টা করব। এ রকম কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই। ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তাদের তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে তাদের সুপারিশগুলো দেবে। আরও কিছু স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে। তখনই কিন্তু রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে। তার আগে রোডম্যাপ ঠিক করা যাবে না।

নির্বাচন কবে হবে এ বিষয়ে বিদেশিরা জানতে চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে আমরা বিষয়গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করেছি যে তাদের বেশি কিছু বলার ছিল না। আমরা তাদের প্রেক্ষাপট বলেছি। এ সরকার আসতে চায়নি এবং নিজে থেকে আসেনি।’

উপদেষ্টা বলেন, যুব সম্প্রদায় কিছু জিনিস চায় এবং তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায় যেখানে স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা সংস্কার চায়। আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে তাদের চাওয়া মেলে। আমরা গোটা বিষয়টি তাদের খুলে বলেছি এবং জানিয়েছি এরপরে নির্বাচন দিয়ে আমরা এখান থেকে সরে যাব।

এসময় তিনি আরও জানান, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বাংলাদেশি গ্রুপের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং সবাই জোর দিয়েছে যে আমরা যেন এ ব্যাপারে (নির্বাচন) তাড়াহুড়ো না করি।

যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সবাই প্রফেসর ইউনূসের কাছে শুনতে চাইছিলেন যে কী ঘটছে বাংলাদেশে এবং তার পরিকল্পনা কী। এটি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে এর আগে বলেছি। কিন্তু তিনি সরাসরি হাজির হয়ে বলা এবং অন্য মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর মধ্যে পার্থক্য আছে।’

উপদেষ্টা জানান, হঠাৎ করে কিছু অর্জিত হয়ে যায় না। আমি এটুকু বলতে পারি যে যারা দেখা করেছেন এবং যারা এককভাবে দেখা করেননি তারা সবাই বাংলাদেশের এই মূহূর্তে সার্বিকভাবে সহায়তার কথা বলেছেন এবং জানতে চেয়েছেন তারা কী করতে পারেন।

রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান নিহিত সীমান্তের ওপারে। সমাধান আমাদের এখানে নেই। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তারা যাতে মানবিক জীবন যাপন করতে পারে, সেজন্য তাদের সহায়তা করা হচ্ছে এবং আমরাও সহায়তা করছি। কিন্তু সমাধান মিয়ানমারে রয়েছে। তাদের ফিরে যেতে হবে এবং এর জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরির বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘জামায়াত ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদদের জাতীয় মর্যাদা দেওয়া হবে’

শুধু মানুষ নয়, পশুপাখিও চিন্তা করে যুক্তি দিয়ে

শাহবাগে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ‘রাজনৈতিক মব’ হয়েছিল

আবারও ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ইসরায়েলি বিমানবন্দর বন্ধ

‘বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে’

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দগ্ধ রোমের দুই পুলিশ

এক দেয়াল ও ১৪ দরজা-জানালা রং করতে ৬৫৮ মিস্ত্রি!

এনসিসি জাতীয় কোনো ধারণার সঙ্গে একমত হইনি : সালাহউদ্দিন

সাদিয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে পারভেজ মল্লিক

‘জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে কাদের সেবা করার সুযোগ দেবে’

১০

শহীদ শিশু রিয়া গোপ হত্যার বিচারের আশ্বাস সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার

১১

পাঠ্যপুস্তকে ভুল সংশোধনে শিক্ষকদের পরামর্শ চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

১২

ঢাবির হল থেকে ছাত্রলীগ নেতা আটক 

১৩

বিএনপি নেতা প্রকৌশলী সেলিমের নেতৃত্বে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৪

মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে মির্জা ফখরুলের শোক

১৫

শেষ ওয়ানডের আগে শঙ্কায় শান্ত

১৬

তারা কেমন পিআর পদ্ধতি চায়, প্রশ্ন নজরুল ইসলামের

১৭

হাসিনার স্বজনরা গ্রেপ্তার না হওয়ার কারণ জানালেন আলাল

১৮

কেন ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন না শি জিনপিং

১৯

দেশে সবচেয়ে বেশি গাছ কাটা হয়েছে কোথায়?

২০
X