রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরের বাসায় জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান সাবেক এই সংসদ সদস্য। এরপর দুপুরে গুলশান আজাদ মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আগামী রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পান্না কায়সারের মরদেহ আনা হবে। আজ রাতে বারডেমের হিমঘরে লাশ রাখা হবে।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে আরেকটি জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী পান্না কায়সারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৫ মে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর করা এই শহীদ জায়া শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শহীদুল্লাহ কায়সারকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এরপর তিনি আর ফেরেননি। এরপর থেকে পান্না কায়সার মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। পান্না কায়সার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ছিলেন বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতিও।
১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণা, গল্প-উপন্যাস মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখায় ২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
মন্তব্য করুন