কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে ১০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশ। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে কয়েকদিন ধরে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা শুরু হলেও ঈদযাত্রার মূল স্রোত শুরু হবে বুধবার অফিস শেষে। তবে ঘরে ফেরা মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে গত কয়েকদিন ধরে হতে থাকা বৃষ্টি। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমলেও সারা দেশেই কমবেশি মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে এখনও। ফলে এই সময়ে ঈদযাত্রা কতটা স্বস্তির বা ভোগান্তির হবে, তা নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে সংশয়।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঈদযাত্রায় বৃষ্টিতে ভোগান্তির আশঙ্কা কম হতে পারে। মৌসুমি বায়ু এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণেই বৃষ্টি হচ্ছে। মঙ্গলবার বৃষ্টি আগের চেয়ে কমে এসেছে। বুধবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে কোনো কোনো স্থানে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা খাতুন বলেন, মৌসুমি বায়ু যেহেতু সক্রিয়, তাই মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি একটু কমে আসতে পারে। এরপর কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) দিনাজপুর ও কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সর্বোচ্চ ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বুধবার ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সাৱাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সাৱাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। রাজশাহী ও পাবনা জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনেৱ তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পরবর্তী তিন দিন বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকলেও প্রবণতা কমতে পারে। আবহাওয়ার খবর বলছে, এই সময়ে সারা দেশের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ফলে বৃষ্টির কারণে ঈদযাত্রার শুরুর দিকে ভোগান্তি থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে ধারণা করা যায়।
বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনেৱ ভাৰী থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এদিন সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সাৱাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
ঈদের দিন শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এরপর ঈদের পর থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। ফলে ঈদ-পরবর্তী যাত্রায় বৃষ্টির বাগড়া কম হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন