এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ইন্টারনেট সেবায় উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করায় সাধারণ ভোক্তাদের ওপর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব)।
বুধবার (০৪ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এমনটা জানায় সংগঠনটি।
এমটবের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি ও ডেটা খাতের সম্প্রসারণে মোবাইল হ্যান্ডসেটের ট্যাক্স কমানোর আশা করা হচ্ছিল। তবে, প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কোনো পদক্ষেপ বা সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের ইঙ্গিত দেখা যায়নি। ইন্টারনেট সেবার ওপর উইথহোল্ডিং ট্যাক্স ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ কমানো একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে এটি শুধু ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই সাধারণ ভোক্তাদের ইন্টারনেট খরচের ওপর এর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না।
সংগঠনটি জানায়, মোবাইল সেক্টরে ন্যূনতম করপোরেট ট্যাক্স ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এছাড়াও, বিটিআরসি এবং অন্যান্য আয় বহির্ভূত সংস্থাগুলোর জন্য রিটার্ন জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এই প্রেক্ষাপটে, অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিনের অনিষ্পন্ন অনুরূপ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী।
এমটব বলে, বাজেটে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ডিজিটাল কনটেন্টের সহজলভ্যতা ও সাশ্রয়ী মূল্যকে প্রভাবিত করতে পারে। যা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। আমরা কর্পোরেট ট্যাক্স রেট কমানো (তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত উভয় অপারেটরের জন্য), সিম ট্যাক্স ও সিম প্রতিস্থাপন ট্যাক্স বাতিল এবং ১ শতাংশ সারচার্জ প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছিলাম।
মন্তব্য করুন