ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (ইআবি) এবং ইবনে সিনা ট্রাস্টের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ইআবির বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা ইবনে সিনা ট্রাস্টের সকল ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার আইয়ুব হোসেন এবং ইবনে সিনা ট্রাস্টের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম অ্যান্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নিয়াজ মাকদুম শিবলী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইবনে সিনা ট্রাস্ট পরিচালিত সকল ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের উপর নির্ভরশীল বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানগণ সকল প্যাথলজিক্যাল টেস্ট, পিসিআর টেস্ট এবং রেডিওলজিক্যাল অ্যান্ড ইমেজিং টেস্টে বিশেষ কর্পোরেট আর্থিক ছাড় পাবেন। এছাড়াও, ইবনে সিনা ট্রাস্টের কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত সকল মাদরাসার শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম। তিনি বলেন, এ চুক্তির মধ্য দিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও ইবনে সিনা ট্রাস্টের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি হলো। যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বাস্থ্য সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন। এজন্য তিনি ইবনে সিনা ট্রাস্ট পরিবারকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান, ট্রেজারার এ এস এম মামুনুর রহমান খলিলী, কামিল কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ অলী উল্যাহ, কারিকুলাম এর ডিন অধ্যাপক ড. শাযায়াত উল্লাহ ফারুকী, রেজিস্ট্রার মো. আইয়ুব হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আলী ও উপ-রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমদ মোমতাজী। ইবনে সিনা ট্রাস্টের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এজিএম অ্যান্ড হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নিয়াজ মাকদুম শিবলী, এজিএম তরিকুল ইসলাম, সহকারী ম্যানেজার আব্দুল্লাহ রাসেল, সিনিয়র অফিসার মহিউদ্দীন রবিন এবং মাহমুদ নাজমুস সাবাহ।
মন্তব্য করুন