নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ। তবে সব নিবন্ধিত দলের কাছে হিসাব চাওয়া হলেও আওয়ামী লীগের কাছে এ সংক্রান্ত কোনো হিসাব চায়নি ইসি।
ইসি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। তবে অধিকাংশ ইসলামী দলসহ অনেক দল এখনো এ হিসাব জমা দেয়নি। কোনো দল চাইলে আবেদনসাপেক্ষে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
গত ৭ জুলাই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়নি।
নিবন্ধন সংক্রান্ত শর্ত অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ইসিতে জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। পরপর তিন বছর হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে। বর্তমানে ইসিতে মোট ৫১টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত রয়েছে।
এদিকে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে দাবি ও আপত্তি জানাতে ১১ দিন সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নাগরিকদের কাছ থেকে দাবি ও আপত্তি আহ্বান করেছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচনের সীমানা সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসি।
বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯-এর দফা (১)-এর উপদফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর ধারা ৮ এর উপধারা (১)(খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাগুলোর সীমানা উপরোক্ত আইনের ধারা ৬-এর উপধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে ধারা ৬-এর উপধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত আহ্বান করেছে।
ইসি আরও জানায়, কোনো সংক্ষুব্ধ বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে কোনো আসনের পুনর্নির্ধারিত নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত পেশ করতে পারবেন। তবে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে এবং দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত পাঁচ প্রস্থ দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না।
মন্তব্য করুন