

চাঁদপুরে দুইজনের ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মুক্তা আক্তার (৩৬) নামের ওই গৃহবধূর মরদেহ হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ও দুপুরে নাজিম উদ্দিনের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ।
মুক্তা আক্তার হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ এলাকার হোসেন পাভেলের স্ত্রী ও নাজিম উদ্দিন কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভার কুন্দ্রা এলাকার সালামত আলীর ছেলে।
জানা গেছে, রোববার সকালে মকিমাবাদ এলাকায় নিজ বাসার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় গৃহবধূ মুক্তা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মৃতের স্বামী দাবি করেন, শ্বশুরবাড়ির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা ও মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন মুক্তা আক্তার। তবে, মুক্তা আক্তারের মাসহ তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, স্বামী ও তার পরিবারের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মুক্তা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।
পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন ও প্রাথমিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত করছে।
একই দিন চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের হাজীগঞ্জ স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় যুবকের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ও তার সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে এবং তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে নাজিম উদ্দিনের মরদেহ চিহ্নিত করেন। তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার।
তিনি বলেন, মৃত গৃহবধূর মরদেহ থানা হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয় ওসি জানান, চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় অবহিত করার পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মন্তব্য করুন