কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৫ এএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

রাষ্ট্রপতির ছবি‌ সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মৌখিকভাবে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছিল। কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে বিবিসি বাংলা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা মৌখিকভাবে দেওয়া হয়। এরপরই কয়েকটি দেশের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) শ্রীলঙ্কার কলম্বো দূতাবাসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের দূতাবাসে ৫ আগস্টের পরই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলেন। শনিবার আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে মৌখিকভাবে নির্দেশনা এসেছে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে ফেলার। কিন্তু আমাদের এখানে আগে থেকেই ছবি ছিল না। যে কারণে কলম্বো দূতাবাস থেকে নতুন করে ছবি সরাতে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘হেডকোয়ার্টার (ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) শুধু বলেছে তোমাদের দূতাবাসসহ অন্য যদি কোনো দূতাবাসে রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেটি সরিয়ে ফেলো।’

ইরানের বাংলাদেশি দূতাবাস কার্যালয়ে ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর তেহরানের বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার দুটি ছবি বাঁধাই করে রাষ্ট্রদূতের অফিস কক্ষে টানানো হয়েছিল।

সেখানকার এক কর্মকর্তা নাম গোপন রেখে বলেন, সরকারের এই নির্দেশনার পরই রাষ্ট্রপতির ছবিসহ দুটি ছবিই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি আজ অফিসে এসে দেখি সেখান থেকে দুটি ছবিই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আজকে সেখানে কোনো ছবি নেই।

লন্ডনে বাংলাদেশি হাইকমিশনে হাইকমিশনারের রুমে শুধু রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি ছিল। শুক্রবার রাতেই ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ফোন করে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হলে ওই রাতেই ছবি সরিয়ে ফেলা হয়।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে ফেসবুকের নিজের প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘সরকারি দপ্তরে পোর্ট্রেট ব্যবহার শুরু থেকেই অন্তর্বর্তী সরকার নিরুৎসাহিত করছে। অলিখিতভাবে জিরো পোর্ট্রেট নীতি বজায় রেখেছে। তার পরও কেউ কেউ সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের ছবি নিজ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করেছে। সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে এমন কোনো লিখিত নির্দেশনা কোনো দপ্তর কিংবা মিশনকে দেওয়া হয়নি। তার পরও দেখা যাচ্ছে, আজ এটা নিয়ে বাজার গরম করে ফেলা হয়েছে। নির্বাচনের সময় ঘোষণা করার পর রাজনীতি নিয়ে ঘোঁট পাকানোর সুযোগ কমে আসছে। কাটতি ধরে রাখার জন্য ছোটখাটো অনেক বিষয়কেও এখন তাই পাহাড়সম করে তোলা হচ্ছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএল: কোন দলে কে থাকলেন, দেখে নিন পূর্ণাঙ্গ তালিকা

পাবলিক রিলেশনস অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন

দাবি পূরণের আশ্বাস, বিচারকদের আজকের কলমবিরতি কর্মসূচি স্থগিত 

১৬ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

বিএনপি যা অঙ্গীকার করে তা বাস্তবায়ন করে : খোকন

লিবিয়া উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে নৌকাডুবি, মৃত্যু ৪

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

সকালের কিছু ভুল অভ্যাসেই বাড়তে পারে হার্টের ঝুঁকি

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে জরুরি অভিযোগ করছে লেবানন

ইন্দোনেশিয়ার ভয়াবহ ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু 

১০

রক্তক্ষয়ী হামলার মধ্যেই কাতারে কঙ্গো শান্তি চুক্তি

১১

তারেক রহমানের ৩১ দফাই রাষ্ট্র গঠনে সর্বজনীন দিকনির্দেশনা : মনিরুল হক চৌধুরী

১২

আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনে চাকরির সুযোগ, আজই আবেদন করুন

১৩

ব্র্যাক এনজিওতে চাকরির সুযোগ, সপ্তাহে দুদিন ছুটি

১৪

চাঁদাবাজির সময় ইউপি সদস্যসহ আটক ১০

১৫

১৬ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

১২০০ টাকার জন্য ব্যবসায়ীকে হত্যা, মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

১৮

জালে আটকা শঙ্খচিল ফিরল আপন ঠিকানায়

১৯

রাজধানীতে কলেজের সামনে বাসে আগুন

২০
X