

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে আসা সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীদের ভিড় সামলাতে এবং জানাজা সহজ করতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার পর জিয়া উদ্যান সংলগ্ন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। গেট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাখো জনতা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এলাকায় প্রবেশ করেন। দক্ষিণ প্লাজা এলাকার দুটি বড় মাঠ জানাজার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
আপসহীন নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য সকাল থেকেই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। মানুষের চোখে মুখে আপসহীন দেশনেত্রীকে হারানোর বেদনা।
জানাজা আয়োজনে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। খালেদা জিয়ার প্রতি সর্বস্তরের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে সম্মান জানাতে পারেন এবং তার জানাজায় অংশ নিতে পারেন সেজন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। জানাজা উপলক্ষে আজ সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে জানাজা আয়োজনে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, বুধবার জানাজার সময় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার বদলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে খালেদা জিয়ার মরদেহবাহী কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
জানাজার পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বিএনপি মনোনীত রাজনীতিকরা উপস্থিত থাকবেন।
খালেদা জিয়ার দাফন নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্য জিয়া উদ্যানে নির্ধারিত ব্যক্তিদের ছাড়া আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দাফন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত রাখা হবে।
মন্তব্য করুন