তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রজন্মের অগ্রযাত্রায় শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে পারে, আমরা সেই বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। সেটি করার ক্ষেত্রে শিশুপ্রতিভা বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনন্য ভূমিকা রাখছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে চিল্ড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ষোড়শ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একাডেমি চত্বরে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সূচনায় মন্ত্রীর সাথে অংশ নেন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এবং সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগান নিয়ে তিনদিনব্যাপী এ উৎসবে ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তন ও অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ গ্যালারিতে ৩৯টি দেশের ১০১টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের শিশুরা অনেক মেধাবী। তাদের সেই মেধাকে যদি বিকশিত করতে পারি তারা দেশ ও সমাজ গঠনে, উন্নত মানবিক জাতি গঠন ও বিশ্বব্যাপী শান্তি স্থাপনে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব অনেক বড় ভূমিকা রাখে কারণ এখানে শিশুরা নিজেরাই ছোট ছোট চলচ্চিত্র বানায়, আজকে উপস্থাপকরাও ছিল শিশু। ১৬ বছর ধরে ধারাবাহিক এ উৎসব আয়োজকদের আমি ধন্যবাদ জানাই।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এখন প্রায় সব বয়সের মানুষই স্মার্টফোনে নিবদ্ধ হয়ে গেছে। এর ভালো দিক যেমন আছে অনেক খারাপ দিকও আছে। যে কোনো কিছুতে আসক্তিই খারাপ। সেই আসক্তি থেকে শিশুদের বের করে আনতে হবে।
সরকারের কাউকে কারাগারে পাঠানোর পরিকল্পনা নেই : এ দিন শিল্পকলা একাডেমিতে ষোড়শ আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিব ও ড. ইউনূসের কারাবরণের আশঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেখুন বাংলাদেশে আইন এবং আদালত স্বাধীন। সে কারণেই সরকারি দলের অনেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং তারা কারাগারেও গেছেন।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন, তিনি একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক। তার প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা দুইই রেখে বলতে চাই- কেউ নোবেল পুরস্কার পেলে আইনের ঊর্ধ্বে হন না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, এমন কী তারা কারাগারেও গেছেন।
তিনি বলেন, আইন এখানে নিজস্ব গতিতে চলবে। সরকারের কাউকে কারাগারে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। আইন এবং আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সরকার সেটি পালন করে মাত্র। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লেখক ও অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন