৬ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জানি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে উল্লেখিত জেলায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি/পদায়ন করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরীকে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীনকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজু সিফাত মেহনাজকে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসিচব ড. মোহাম্মদ আবদুল ছালামকে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানকে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌফিকুর রহমানকে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি/পদায়ন করা হয়েছে।
এর আগে ‘চলতি মাসেই খুলতে পারে ডিসি নিয়োগের ‘প্যাঁচ’’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, চলতি আগস্টের মাঝামাঝি কিংবা শেষ দিকে যুগ্ম সচিবদের প্রত্যাহার করে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। আর এতে করে ডিসি নিয়োগের ‘প্যাঁচ’ খুলবে বলে আশা করছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র কালবেলাকে জানান, ডিসি নিয়োগে জটিলতা তৈরির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো সরকারের উপদেষ্টারা তাদের পছন্দের কর্মকর্তাদের নাম প্রস্তাব করছেন। আবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিবের একটি তালিকা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিবেরও পছন্দের তালিকায় আছে কিছু নাম। এসবের বাইরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিবের পৃথক পৃথক পছন্দও আছে। ফলে ডিসি পদে নিয়োগপ্রত্যাশী কর্মকর্তার তালিকা বেশ লম্বা হয়ে গেছে। এ তালিকা ছোট করতে গিয়ে পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে বড় ধরনের প্যাঁচ লেগে গেছে। আর এ প্যাঁচ খুলতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা কিংবা কোনো অভিযোগ ওঠার ভয়েই সময় নিচ্ছে সরকার। তবে চলতি মাস থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন মাথায় রেখেই নতুন ডিসিদের মাঠে পাঠাবে সরকার। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে আগামী বছরের রমজান মাসের আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে বলে এর আগে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন