সন্ত্রাসবাদ দমনে ও সীমান্ত সুরক্ষায় যৌথ প্রচেষ্টা জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ (সিজিএসএএফ) মেজর জেনারেল আবদুররহিম মুসাভি ও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরে। টেলিফোন আলাপের আলোচনাকালে এ কে অন্যকে এ প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন। ইসলামাবাদে ইরানি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি সিজিএসএএফ মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি ও পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের মধ্যে টেলিফোনালাপে উভয় পক্ষ সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছে।
সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলোচনায় দুই সেনাপ্রধান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন। এ সময় মুসাভি ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে পাকিস্তানের তেহরানকে সমর্থনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দুই দেশের সেনাপ্রধানের ফোনালাপ হলো ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ইসলামাবাদ সফরের কয়েকদিন পর। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে দুই প্রতিবেশী দেশ সীমান্তে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করে যৌথভাবে সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারে একমত হয়েছিল।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা ইরনাকে মুসাভি বলেন, ইরান সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে প্রস্তুত রয়েছে। এজন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। একইভাবে আসিম মুনির বলেন, পাকিস্তান-ইরান সীমান্তকে ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সীমান্তে রূপান্তর করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মে মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দুই দিনের সফরে তেহরান গিয়েছিলেন। ওই সফরের উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর প্রতি ভারতের সঙ্গে সংঘাতকালে সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো। সফরকালে তিনি সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
মন্তব্য করুন