ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মৌসুম যেন আগস্ট শেষ হওয়ার আগেই অন্ধকারে ঢেকে গেল। কারাবাও কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডেই ইংলিশ চতুর্থ সারির ক্লাব গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে রুবেন আমোরিমের দল। তাও আবার টানটান উত্তেজনার পেনাল্টি শুটআউটে, যেখানে শেষ পর্যন্ত ১২-১১ গোলের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
নর্থ ইস্ট লিংকনশায়ারের ছোট শহর ক্লিথর্পসের ব্লান্ডেল পার্ক যেন উৎসবে মেতেছিল। ৭৭ বছর পর আবারও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল গ্রিমসবি। গ্যালারিতে উড়ছিল ইনফ্ল্যাটেবল হ্যারি হ্যাডকস, ব্যানারে লেখা ছিল তির্যক মজার বার্তা, ‘ইউনাইটেড আজ ভাজা মাছের মতো হজম হবে।’
খেলার শুরু থেকেই চাপ তৈরি করে গ্রিমসবি। ২২ মিনিটে দারাঘ বার্নসের ক্রসে চার্লস ভার্নাম বল নিয়ন্ত্রণ করে নিখুঁত শটে ভেদ করেন আন্দ্রে ওনানাকে। যদিও ওনানার ভুল ছিল। ছয় মিনিট পর আবারও বল জালে জড়ালেও হাতবলের কারণে গোল বাতিল হয়। তবে ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আর ঠেকাতে পারেনি ইউনাইটেড। কর্নার থেকে আসা বল ফসকে যায় ওনানার হাত থেকে, ফাঁকা পোস্টে সহজেই গোল করেন টাইরেল ওয়ারেন—যিনি কিনা একসময় ইউনাইটেডের একাডেমি ফুটবলার ছিলেন।
২-০ গোলে পিছিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে দিশেহারা অবস্থায় ছিল আমোরিমের দল।
দ্বিতীয়ার্ধে একসঙ্গে তিন পরিবর্তন করেন কোচ আমোরিম—নামান ব্রুনো ফার্নান্দেজ, ব্রায়ান এমবেউমো ও মাত্থাইস ডি লিগটকে। এরপর কিছুটা আক্রমণাত্মক হয় ইউনাইটেড। এমবেমো ও ফার্নান্দেজ দুজনই গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গ্রিমসবির গোলকিপার ক্রিস্টি পিম দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন দলকে।
শেষ ১৫ মিনিটে অবশেষে জ্বলে ওঠেন এমবেউমো। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে চমৎকার শটে জাল খুঁজে পান তিনি। এরপর যোগ হয় আরও এক গোল, ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে।
দীর্ঘ শুটআউটে শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় হলো স্বাগতিকদের। এমবেউমো দ্বিতীয়বারের মতো পেনাল্টি নিতে গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হন। মুহূর্তেই আনন্দে ফেটে পড়ে ব্লান্ডেল পার্ক, আর ভেঙে পড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
মৌসুমের শুরুতেই একের পর এক বাজে ফলাফলে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন কোচ রুবেন আমোরিম। লিগ টু’র গ্রিমসবির কাছে এই পরাজয় নিঃসন্দেহে তার ভবিষ্যৎকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে।
মন্তব্য করুন