নিজের বক্তব্য, আচরণ কিংবা শব্দ চয়নে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
বুধবার (২৭ আগস্ট) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, আমার কথায় কিংবা অযৌক্তিক কোনো ব্যবহারে বা শব্দ চয়নে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, নিঃসন্দেহে আমি দুঃখিত।
তিনি বলেন, আমি যদি নিজেকে আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম, তাহলে হয়তো ভালো হতো। তবে দিনশেষে আমিও একজন মানুষ—একজন মানুষের ধৈর্যেরও একটা সীমা থাকে।
টকশোতে তিনি ব্যক্ত করেন, অনেক দিন ধরে যদি কাউকে বারবার ট্রল করা হয়, তখন একটা সময় মনে হয়, উত্তর দেওয়া উচিত। যদিও এমন পরিস্থিতিতে না জড়ানোই শ্রেয়।
এর আগে গত রোববার ইসিতে শুনানিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সামনেই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রথম দিনের শুনানি শুরু হয় দুপুর ১২টায়। সোয়া ১২টার দিকে শুনানিতে অংশ নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খুর্শিদ আলম, অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম ও অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেনসহ বেশ কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। খসড়ার বিপক্ষে থাকা নেতারা শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। তারা উপজেলা অখণ্ড চান। এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে ইসির শুনানিতে ধাক্কাধাক্কি ও কিলঘুষির ঘটনার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম নির্বাচন কমিশনের মর্যাদা রক্ষায় কেউ গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঢুকবে না। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রার্থী (খালেদ হোসেন মাহবুব) ২০ থেকে ২৫ জন নিয়ে এসে গুন্ডামি করেছেন। ১৫ বছরে যেটা হয়নি, আজ (গতকাল) সেটাই হলো—অলমোস্ট আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যে বিএনপির নেতাকর্মীদের জন্য ১৫ বছর লড়েছি, তারাই আমাকে ধাক্কা দিল।’
অভিযোগ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘কমিশনে আমি ভদ্রলোক নিয়ে এসেছি, গুন্ডা নয়। কিন্তু তারা আবোলতাবোল বলে যাচ্ছিল। শেষ দিকে আমি বক্তব্য দিতে দাঁড়ালে আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়। আমার লোকজনকে মারধর করা হলে তারাও প্রতিউত্তর দিয়েছে।’
মন্তব্য করুন