সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং করপোরেশনের চাকরিতে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণে নতুন নীতি জারি করেছে সরকার। নতুন নীতির আওতায়, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধা তালিকা এবং কোটা অনুসরণ করে প্রতিটি সুপারিশকৃত পদের বিপরীতে দুজনের অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করবে নিয়োগ কমিটি। সংশ্লিষ্ট কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে মেধা কোটা থেকে তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমানের স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ বিষয় জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, চাকরিতে নিয়োগের অপেক্ষমাণ তালিকা প্রথম সুপারিশের তারিখ থেকে ১ বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বা পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত, যেটি আগে হবে। যদি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী যোগদান না করে বা চাকরি ছাড়ে, শূন্য পদ পূরণের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রার্থী নেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলে প্রার্থীকে মোবাইল কল, এসএমএস, ই-মেইল ও রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস সময় দিয়ে অবহিত করা হবে। নতুন নিয়মে, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রার্থীর জ্যেষ্ঠতা প্রথম নিয়োগপ্রাপ্তদের পরে গণ্য হবে। একই দিনে যোগদানকারীদের ক্ষেত্রে মেধাক্রম, প্রয়োজনে বয়স বা শিক্ষাবর্ষ বিবেচনা করে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে। নতুন নীতি অনুসারে, অপেক্ষমাণ তালিকার কোনো প্রার্থীকে অন্য পদের জন্য সুপারিশ করা যাবে না।
এ নির্দেশনা দেশের সকল মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা ও করপোরেশনের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে বলা হয়েছে বলে জানানো হয় পরিপত্রে।
মন্তব্য করুন