কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বালিশকাণ্ডে চাকরি গেছে প্রকৌশলীর, একজনের কমেছে বেতন

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের লোগো। ছবি : কালবেলা গ্রাফিক্স

পাবনার রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের ক্রয় প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কেএম জিল্লুর রহমানকে নিম্নপদে অবনমিতকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ তার বেতন কমানো হয়েছে। একই ঘটনায় অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মো. রফিকুজ্জামান পাবনার গণপূর্ত সার্কেলে সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) (সাময়িক বরখাস্তকৃত) এবং জিল্লুর রহমান রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল-চলতি দায়িত্ব) পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ে অস্বাভাবিক ব্যয় এবং ভবনে মালামাল ওঠানোর কাজে অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রফিকুজ্জামানকে চাকরি হতে অপসারণের গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সুপারিশের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানকে ‘নিম্নপদে অবনমিতকরণ’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গত ১১ সেপ্টেম্বর গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসর ও একজনের বেতন কমানো (নিম্ন বেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ) হয়।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের জন্য কেনা একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছিল ২৮ হাজার টাকা। এ কারণে ঘটনাটি ‘বালিশকাণ্ড’ নামে পরিচিতি পায় সর্বমহলে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধানের শীষে ভোট চাইলেন মির্জা ফখরুলের পত্নী

গুজব ও বিভ্রান্তি প্রতিরোধে বিশেষ সাইবার সেল

অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

ধানের শীষের প্রার্থীর দাবিতে আমরণ অনশনে রিয়াজুল

চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে স্টেশন মাস্টার গুরুতর আহত

শেষ সেশনে স্বস্তি বাংলাদেশের, আয়ারল্যান্ড ২৭০/৮

‘শিল্প লবণের নামে খাবার লবণ আমদানি করতে দেওয়া হবে না’

অজু করার সময় মারাত্মক এই ৭ ভুল হচ্ছে না তো? জেনে নিন এখনই

সংবিধানে রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির কোনো বিধান নেই : সালাহউদ্দিন আহমদ

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কঠোর অবস্থানে সিরিয়া

১০

আ.লী‌গের দুই নেতা আটক

১১

নির্বাচনী প্রচারণায় যে দুই জিনিস ব্যবহার নিষিদ্ধ

১২

‘সুযোগ’ পেলে জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে আগ্রহী জাতীয় পার্টি

১৩

প্রথম সমাবর্তন না হলেও দ্বিতীয় সমাবর্তনের ফি দিতে বাধ্য করছে বুটেক্স

১৪

সড়কের পাশে জ্বালানি তেল বিক্রি সাময়িক বন্ধ থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা 

১৫

প্রশাসনের ৬ কর্মকর্তা পেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা

১৬

বিপিএলে দেখা যেতে পারে ওয়েলালাগে-উসমান খানকে

১৭

প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ইমরানও মারা গেছে

১৮

ভারতের তাজ চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ঊনাদিত্য’

১৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মিলল ছাত্রদল নেতার লাশ

২০
X