কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইলিশের আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারণের সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

ইলিশ মাছ। ছবি : সংগৃহীত
ইলিশ মাছ। ছবি : সংগৃহীত

দেশে ইলিশের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে আকারভেদে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। স্থানীয় বাজারে দামের অস্থিতিশীলতা চিহ্নিত করে রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি সেপ্টেম্বরে ইলিশের কেজিপ্রতি দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ২০০ টাকায় উঠেছে। এ বিষয়ে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, একসময় এক কেজি গরুর মাংসের দামে তিন কেজি ইলিশ কেনা যেত। এখন উল্টো, তিন কেজি মাংসের দামে এক কেজি ইলিশ কিনতে হচ্ছে। অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট মূল্য বেঁধে দেওয়া জরুরি।

তিনি আরও জানান, ইলিশ শতভাগ দেশীয় পণ্য হলেও বাজারে কৃত্রিমতার প্রভাব প্রবল। আহরণের পর দাদন ব্যবসায়ী ও মধ্যস্বত্বভোগীদের একাধিক স্তর এবং অতিরিক্ত মুনাফার কারণে দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বাজারে ইলিশের কেজিপ্রতি দাম ৯০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা হলেও চলতি সেপ্টেম্বরে ভারতে রপ্তানির গড় দাম পড়েছে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশে ৯৭ টনের বেশি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। কমিশনের ভাষ্য, যদি এই দামে ব্যবসায়ীরা রপ্তানিতে মুনাফা করতে পারেন, তাহলে স্থানীয় বাজারে উৎপাদন খরচের তুলনায় তারা অতিরিক্ত মুনাফা করছেন।

ট্যারিফ কমিশন ইলিশের দাম বাড়ার ১১টি কারণ চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা, মজুত ও সিন্ডিকেট, জ্বালানি ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি, মাছ ধরার ব্যয় বাড়া, নদীর নাব্য ও পরিবেশগত সংকট, অবৈধ জাল ব্যবহার, দাদন ব্যবসা, বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাব, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা, মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব এবং রপ্তানির চাপ।

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত চার মাসে ইলিশের দামে ধারাবাহিক ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। জুনে কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়। গত পাঁচ বছরে স্থানীয় বাজারে ইলিশের দাম ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে রপ্তানি মূল্যও বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ৯৪৭ টাকা, যা এ বছর বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৩৪ টাকা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রতিবছর গড়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টনের মতো ইলিশ আহরণ হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আহরণ হয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার টন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইভ্যালির রাসেলের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড

সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ৪

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

আ.লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে ছিল ৯ রাউন্ড গুলির খোসা

উত্তরায় যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

জবি ছাত্রী হলে ছাত্রদলের উপহার সামগ্রী বিতরণ

চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার কফিল উদ্দিনের

বরগুনায় জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কক্সবাজারে মার্কেটে আগুন

৮ দলের কর্মসূচি নিয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পোস্ট

১০

চট্টগ্রামে বিজিবি মোতায়েন, সর্বোচ্চ সতর্কতায় পুলিশ

১১

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নদীগুলোর নাব্যতা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নেবে : বাচ্চু

১২

নিক্সনের গানম্যানের নেতৃত্বে তৈরি হচ্ছিল পেট্রোল বোমা ও ককটেল : পুলিশ

১৩

দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

১৪

অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল নেতা দয়াল

১৫

একজন উপদেষ্টা ধানমন্ডিতে ভোটার হতে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন : ব্যারিস্টার অসীম

১৬

‘গণভোটের চেয়ে আলুচাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন’

১৭

খতমে নবুওয়তের মহাসম্মেলন সফলে ঢাকায় গণমিছিল

১৮

চলন্ত পিকআপ থেকে ককটেল বিস্ফোরণ

১৯

ইস্তানবুল হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড মিরপুর শাখার উদ্বোধন

২০
X