বাংলাদেশে সাংবাদিকদের হয়রানি এবং নিপীড়নমূলক আচরণের বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এ সময় সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানকে আদালতের দেওয়া সাত বছরের জেল এবং সাংবাদিক ইলিয়াসের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশের বিষয়ে মিলারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্টেট ডিপার্টমেন্টের এ নিয়মিত ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
দুই সম্পাদক ও একজন প্রতিবেদকে সরকারের এই হয়রানির বিষয়টিকে মিলার কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এর আগেও এ বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তাদের কাজের মাধ্যমে দুর্নীতি উন্মোচিত হয় এবং জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত হয়।
তিনি বলেন, মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে এমন প্রাত্যাহিক বিষয় সম্পর্কে তাদের অবগত করতে সাংবাদিকদের কাজের সুযোগ দিতে হবে। প্রতিদিন এখানে যেমন আপনারা আমার কাছে জবাবদিহিতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান, ঠিক তেমনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবে সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের হয়রানির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে মিলার বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলি সাংবাদিকদের অবশ্যই কোনো ধরনের ভীতি, হয়রানি এবং সহিংসতা ছাড়া কাজের সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশের যেসব সাংবাদিক সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সরকারের রাষ্ট্রীয় এবং নিপীড়নমূলক আচরণের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার একটি আদালত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা এক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় এ রায় দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর।
এদিকে, গত ৩১ আগস্ট সাংবাদিক ইলিয়াসের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি ট্রাইবুনাল। মিতু হত্যা মামলায় ‘মিথ্যা ও অসত্য’ তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা এক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় এ নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত।
মন্তব্য করুন