কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আমার বউয়ের কাছে আমি যাব, তুই আটকানোর কে?’

‘আমার বউয়ের কাছে আমি যাব, তুই আটকানোর কে?’

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের ঘটনার পর এখনো থেমে নেই আলোচনা-সমালোচনা। এই কাণ্ডে এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত হলেও এডিসি সানজিদার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি ডিএমপি। এই কাণ্ডে এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি এপিএস মামুন। তবে এই ঘটনায় নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের আয়া। তিনি বলেছেন, সেদিন এপিএস মামুন এসেই এডিসি হারুনকে বলেন- ‘আমার বউয়ের কাছে আমি যাব, তুই আটকানোর কে?’

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ইটিটি কক্ষে রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন প্রবেশ করতে চাইলে এডিসি হারুন বাধা দেন বলে হাসপাতালে কর্তব্যরত এক আয়া জানান।

হাসপাতালে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন হৃদ্‌রোগের চিকিৎসার জন্য ইটিটি করতে গিয়েছিলেন এপিএস মামুনের স্ত্রী এডিসি সানজিদা আফরিন। তার সঙ্গেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন এডিসি হারুন। চারতলায় ৪০২৩ নম্বর ইটিটি কক্ষে ছিলেন সানজিদা। বাইরে বসে অপেক্ষা করছিলেন এডিসি হারুন। তখনই ঘটনাস্থলে আসেন এপিএস মামুন।

সেদিন ইটিটিতে দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক আয়া বলেন, ‘এপিএস মামুন এসেই এডিসি হারুনকে বলেন, ‘আপনি এখানে কী করছেন।’ স্ত্রী কোথায় আছেন জানার পর মামুন সরাসরি ইটিটি রুমে চলে যান। পেছন থেকে বাধা দেন এডিসি হারুন। ততক্ষণে আশপাশে মানুষ জড়ো হয়ে যায়। এপিএস মামুন তখন চিৎকার দিয়ে বলেন, ‘আমার বউয়ের কাছে আমি যাব তুই আটকানোর কে?’ জোর করেই মামুন ইটিটি রুমে গিয়ে সঙ্গে থাকা দুই ছেলেকে ভিডিও করতে বলেন, তখন তার স্ত্রী সানজিদা এপিএস মামুনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তাদের বাধা দেন চতুর্থ তলায় দায়িত্বরত গার্ড ওয়ারেছ আলী।’

প্রসঙ্গ, এর আগে ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ- পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানায় নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পেটান।

পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের এক নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান। পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে মারধর করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: এডিসি হারুন-সানজিদাকান্ড
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রেস সচিব অবরুদ্ধ ছিলেন না, তিনি খুলনার অতিথি : আন্দোলনকারী

জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি ঢেকে রাখা পোস্টার সরাচ্ছে ছাত্রদল

অসুস্থ সাংবাদিক মাসুদ কামালকে তারেক রহমানের ফোন

বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে ১০ শতাংশ, বছরে মৃত্যু ৩৫০

নেতানিয়াহুকে আর বিশ্বাস করেন না বহু ইসরায়েলি

ইনশাআল্লাহ, এনসিপি সরকার গঠন করবে : নাসীরুদ্দীন

ক্লাব বিশ্বকাপকে ফুটবলের সবচেয়ে বাজে আইডিয়া বললেন ক্লপ!

নীলফামারীতে আটক কুমিল্লার ২ সাংবাদিক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

হাসপাতালে ব্যালন ডি’অর জয়ী বোনমাতি!

১০

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন কেন চান না, জানালেন সালাহউদ্দিন

১১

ফ্যাসিস্ট আ.লীগের এ দেশের রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা নেই : ফরিদুজ্জামান

১২

শেফালির মৃত্যুতে শোকাহত নিরব

১৩

পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা, ৩২ জনের প্রাণহানি

১৪

‘ঐকমত্য কীভাবে হবে’, প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের

১৫

ইরানে হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৬

চার তরুণ মেধাবী প্রকৌশলী পেলেন মর্যাদাপূর্ণ ‘ওয়াই-ই-এস অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’

১৭

আমার দিকে পাথর ছুড়লে আমি তাকে ফুল দিয়ে বুকে টেনে নেব : হাসনাত

১৮

গোলাপজল দিয়ে গোসল করে আ.লীগ না করা ঘোষণা

১৯

আশাশুনিতে গ্রিল কেটে লাইসেন্সকৃত বন্দুক চুরি

২০
X