

চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন হলে ২২ নভেম্বর আয়োজিত ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’–এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন।
গতকাল সোমবার রাতে এক প্রতিবাদলিপিতে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি তাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বক্তব্যটি ‘উচ্চাকাঙ্ক্ষামূলক ও পুলিশের জন্য হেয়প্রতিপন্নকারী’।
প্রতিবাদে পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ওই অনুষ্ঠানে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে, পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে, ওসি সাহেব সকালবেলা আপনার প্রোগ্রাম জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবেন—এ ধরনের বক্তব্য শুধু বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি অপমান, মানহানি, হীন প্রচেষ্টা এবং সংবিধানসম্মত দায়িত্ব ও পেশাদারিত্বকে অবমাননাকর।
প্রতিবাদে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের অবস্থান স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন। ১. পুলিশ রাষ্ট্রীয় শপথ অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, পেশাদার ও আইনকেন্দ্রিকভাবে কাজ করে থাকে। কোনো দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ‘কথায় ওঠা-বসা’ করার অভিযোগ মানহানিকর। ২. আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের বক্তব্য নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিপর্যস্ত করতে পারে। ৩. এসব মন্তব্যের মাধ্যমে জনমনে পুলিশ সম্পর্কে ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি—শাহজাহান চৌধুরী এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপমান ও বিভ্রান্ত করার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা আবশ্যক। ভবিষ্যতে কোনো রাজনৈতিক নেতা বা ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য বা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকবেন—এটাই প্রত্যাশা।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সংবিধান, আইন এবং রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের প্রতি অটল। এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য এবং বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এতে গভীর অসন্তোষ জানাচ্ছে।
মন্তব্য করুন