

লটারির ভিত্তিতে পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাবী কেউ বাদ পড়েনি বলে জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে এডিপি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে। সমাজ থেকে দুর্নীতি কমানো সম্ভব হয়নি। তবে সরকার কমাতে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়নি কিন্তু কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এসপি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এ, বি ও সি হিসেবে তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৬৪ জেলার এসপির মধ্যে আগের ১৮ জন এসপিকে তুলে আনার পর সেখানে নতুন এসপি নিয়োগ হয়েছে এরপর বাকিদের বিভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে লটারির মাধ্যমে। সেক্ষেত্রে মেধাবীরা কেউ বাদ পড়েনি।
এর আগে, ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’তে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৪ জেলার এসপি চূড়ান্ত করতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশের অন্য একটি সূত্র জানায়, সাধারণত ৩ বছরের জন্য কোনো জেলায় এসপিদের পদায়ন করা হয়। সে হিসাবে এখন পদায়ন করা কর্মকর্তারাই নির্বাচনকালীন দায়িত্বে থাকবেন। তবে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। তখন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনে বদলি-পদায়ন করে থাকে।
সূত্র আরও জানায়, লটারির আগে মূলত পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচন করা হয়। এ ক্ষেত্রে আগে এসপির দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদের তালিকার বাইরে রাখা হয়।
মন্তব্য করুন