

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের বিশেষায়িত কে-নাইন দলের প্রশিক্ষিত তিনটি কুকুরের নিলাম অনুষ্ঠিত হলেও সাড়ে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া ‘কোরি’ নামের কুকুরটি শেষ পর্যন্ত নেয়নি নিলামকারী। ফলে কোরিকে আপাতত নিজেদের হেফাজতেই রাখছে সিটিটিসিকে। তবে স্যাম-ফিন যাচ্ছে তাদের নতুন সঙ্গীদের কাছে।
গত ২৫ নভেম্বর মিরপুর-১৪ তে পুলিশ কে-নাইন টিম সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এই নিলামে তিন কুকুর— কোরি, স্যাম ও ফিন মোট ছয় লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এর মধ্যে কোরির দাম ওঠে পাঁচ লাখ ৬০ হাজার টাকা, স্যামের ৪০ হাজার এবং ফিনের ৩০ হাজার টাকা।
কে-নাইন স্কোয়াডের পুলিশ পরিদর্শক ফখরুল আলম জানান, স্যাম ও ফিনের ক্রেতা নির্ধারিত ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে কুকুর দুটি নিয়ে গেলেও কোরির ক্রেতা শুধু মেসেজ দিয়ে জানায় তিনি কুকুরটি নেবেন না। যেহেতু নিলামের ক্ষেত্রে কোনো অগ্রিম মূল্য রাখা হয়নি, তাই ক্রেতাকে বাধ্য করার সুযোগও নেই। কোরিকে পুনরায় নিলামে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বিস্ফোরক এবং বিপজ্জনক বস্তু খুঁজে বের করার কাজে বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে এই ইউনিটের কুকুরদের। তিন কুকুরের প্রতিটিরই বয়স পেরিয়েছে আট বছর। ফিন ও কোরি ল্যাব্রাডর জাতের কুকুর। স্যাম জার্মান শেফার্ড। যুক্তরাজ্য থেকে আনা কুকুর তিনটির জন্য এই বিশেষায়িত ইউনিটে কাজ করার সময় ফুরিয়েছে।
তিনটি কুকুর সম্পর্কে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে ওরা বাংলাদেশ পুলিশের সিটিটিসি গ্রুপের হয়ে নারকোটিক (মাদকদ্রব্য) ও এক্সপ্লোসিভ (বিস্ফোরকদ্রব্য) তল্লাশির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে। বিশেষ করে বইমেলা, সভা-সমাবেশ, এয়ারপোর্টে কার্গো চেকিংয়ের মতো দায়িত্ব সন্তোষজনকভাবে সামলাতে পারে এই জাতের কুকুরগুলো।
তিনটির মধ্যে ফিন পুরুষ ল্যাব্রাডর কুকুর; কোরি স্ত্রী ল্যাব্রাডর; আর স্যাম পুরুষ জার্মান শেফার্ড। তিনটির বয়সই আট বছর। এত বয়সের কারণে তারা আর বিস্ফোরক শনাক্ত করা, অনুসন্ধান অভিযান বা টহল দায়িত্বের মতো কঠিন কাজ করতে পারছে না। তবে কর্মকর্তাদের ভাষ্য, তাদের স্বাস্থ্য এখনো ভালো আছে এবং সহজেই পোষা প্রাণী হিসেবে স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবে।
মন্তব্য করুন