

হিমালয় অঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিম বাতাসে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। কয়েক দিন ধরে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। ভোরে হালকা কুয়াশা থাকলেও ঘন কুয়াশার দেখা মেলেনি। এরপর সকাল গড়াতেই আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা যায়, তবে শীতের দাপট তাতে কমেনি।
তবে রাজধানীবাসী শীতের আমেজে এখনো পুরোপুরি উপভোগ করতে পারছে না। শীতের তাপমাত্রা কম থাকলেও দিনে সূর্যের তীব্রতা জানান দেয় শীত শীত জেঁকে বসতে এখনো কিছুটা সময় লাগবে।
শীত জেঁকে বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শীত চাপ আরও বাড়াবে। এ সময় শৈত্যপ্রবাহও শুরু হতে পারে। উত্তর ও পশ্চিমের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর এবং রাজশাহীর ওপরই এই চাপ সবচেয়ে বেশি পড়বে।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলছেন, বছরের বাকি সময়ে দেশের উপকূলে আর কোনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। ডিসেম্বরের সমুদ্র তাপমাত্রা ঘূর্ণিঝড়ের পক্ষে অনুকূল নয়।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের তীব্রতা আগের মতোই অব্যাহত। সকালে কনকনে ঠান্ডায় রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে; দুপুরে রোদের একটু উষ্ণতা মিললেও শীত কমার কোনো লক্ষণ নেই। গতকাল রোববার (৩০ নভেম্বর) জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিনের চেয়ে সামান্য কম।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে কুয়াশা এতটাই ঘন হয়ে পড়েছে যে, উড়োজাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। সকালে সব ফ্লাইটই কমবেশি আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে বা নেমেছে। জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে না পেরে অনেক যাত্রী বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার হলেই ফ্লাইট স্বাভাবিক হবে; আপাতত কোনো ফ্লাইট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেই।
শীতের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহই হবে এ মৌসুমের সবচেয়ে ঠান্ডা সময়। মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে দেশের বড় অংশ কাঁপবে। উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রভাব থাকবে আরও তীক্ষ্ণ, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবন, পরিবহন এবং কৃষিকাজ সবখানেই অনুভূত হবে।
শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, শীত ধীরে ধীরে নামছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন