কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২০ পিএম
আপডেট : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পারমাণবিক যুগে বাংলাদেশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। ছবি : সংগৃহীত
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। ছবি : সংগৃহীত

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের চালান আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে ৩৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির যুগে প্রবেশ করল।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ভার্চয়ালি যুক্ত ছিলেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি।

ইউরেনিয়াম হস্তান্তর উপলক্ষে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই দেশের নেতার অনুমতিতে সেখানে পারমাণবিক জ্বালানির একটি নমুনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাতে হস্তান্তর করেন রুশ পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। অনুষ্ঠানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর প্রকল্প পরিচিতি তুলে ধরেন।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইএইএর ডিজি রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি, রোসাটমের ডিজি আলেক্সি লিখাচেভ। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। পরেরদিন বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় সেই জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাংলাদেশকে পরীক্ষিত বন্ধু বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই বন্ধুত্বের ভিত্তি হচ্ছে সমতা ও সম্মান।

পুতিন আরও বলেন, ভবিষ্যতেও এই কেন্দ্রের সঙ্গে থাকবে তার দেশ। ২০২৪ এ প্রথম ইউনিট ও ২০২৬ সালে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিকে শান্তিপূর্ণ পথে ব্যবহার করবে। তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করছি। আমাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ, পরীক্ষিত, রাশান ফেডারেশন এবং প্রেসিডেন্ট এখানে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছেন। আমাদের সবাইকে সম্মানিত করেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই পরীক্ষিত বন্ধুদেশকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আরেকটি পদক্ষেপ।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব অটুট থাকুক।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিবি নির্বাচন পেছানোসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি

রাতে খাওয়া বন্ধ করলে কি ওজন কমে? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

ইন্টার ইউনিভার্সিটি বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

আশিয়ান সিটিতে ৬ দিনব্যাপী ‘শরৎ উৎসব’

প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়

১৩ সেকেন্ডেই লন্ডভন্ড পাঁচ গ্রাম

বিজয়ের কারণেই কি ভেঙেছিল রাশমিকা-রক্ষিতের বিয়ে?

শেষ টি-টোয়েন্টিতে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামতে পারে বাংলাদেশ

নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্র হামদুল্লাহ রাইয়ানের সন্ধান চায় পরিবার

বিস্ফোরক আইনের মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ২২ জনকে অব্যাহতি

১০

প্রতিপক্ষের হামলায় আহত বিএনপি কর্মীর পাশে পারভেজ মল্লিক

১১

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলসহ ১২ দাবি ইউট্যাবের

১২

বিপৎসীমার কাছাকাছি তিস্তার পানি

১৩

গাজা শান্তি আলোচনা শুরু হচ্ছে কায়রোতে

১৪

পাখি শিকারে নিষেধ করায় যুবককে গুলি

১৫

তাহলে কি তৃতীয় বারের মতো সংসার ভাঙছে শোয়েব মালিকের?

১৬

অষ্টম শ্রেণি পাসেই নিজ এলাকায় কাজের সুযোগ দিচ্ছে আবুল খায়ের গ্রুপ

১৭

হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

১৮

গাজায় কখন যুদ্ধ শেষ হবে, ট্রাম্প কী বলছেন

১৯

‘কোথায় বা কখন আটকানো হতে পারে, তা বলা কঠিন’

২০
X