অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের আরও অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন অলাভজনক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট-২০২৩’ প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিকরা ক্রমবর্ধমান সহিংসতার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং বিরোধী দল বিএনপির সমর্থকরা অব্যাহত ক্র্যাকডাউনের স্বীকার হচ্ছেন। ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এবারের স্কোর ১০০-র মধ্যে মাত্র ৪১, যা গত বছর ছিল ৪৩। ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘আংশিক মুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ফ্রিডম হাউস।
এ পয়েন্টের ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে ফ্রিডম হাউস। পয়েন্ট ১০০ থেকে ৭০ এর মধ্যে থাকলে 'মুক্ত', ৬৯ থেকে ৪০ এর মধ্যে থাকলে 'আংশিক মুক্ত' এবং ৩৯ এর নিচে হলে 'মুক্ত নয়'। এ হিসাবে ২০১৩ সাল থেকেই আংশিক মুক্ত শ্রেণির দেশগুলোর তালিকায় তলানির দিকে রয়েছে বাংলাদেশ।
ইন্টারনেট ব্যবহারের বাধায় এ বছর বাংলাদেশের স্কোর ৩৫ এ ১২ ও কনটেন্টে বাধা প্রদানে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৫ এ ১৮। সবচেয়ে খারাপ অবস্থান ব্যবহারকারীদের অধিকার হরণে। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ ৪০ এ পেয়েছে ১১। সম্মিলিত যোগফলে বাংলাদেশের স্কোর ৪১।
গত বছর বাংলাদেশের স্কোর হঠাৎ করে বেড়ে ৪৩ হয়েছিল। তবে ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে উন্নতি ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। এ বছর আবারও স্কোর কমেছে। এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪০ এবং ২০২০ সালে ছিল ৪২।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো কীভাবে অনলাইন মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তার ওপর ভিত্তি করেই এই সূচক তৈরি করে ফ্রিডম হাউস।
মন্তব্য করুন