গ্রাম আদালতে বিদ্যমান জরিমানার পরিমাণ মাত্র ৭৫ হাজার টাকা। এ জরিমানার পরিমাণ চারগুণ বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গ্রাম আদালতের আর্থিক ক্ষমতা (জরিমানার করার ক্ষমতা) ৭৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের সমন্বয়ে গ্রাম আদালত হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো সিদ্ধান্তে আসার সুবিধার্থে এ সংখ্যা বিজোড় রাখতে হয়। কিন্তু কোনো কারণে একজন অনুপস্থিত থাকলে আদালতের সদস্য সংখ্যা চারজন হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া আগের আইনের কয়েকটি জায়গায় থাকা ‘নাবালক’ শব্দটির পরিবর্তে সংশোধিত আইনে ‘শিশু’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে।
২০১৩ সালে গ্রাম আদালত আইন সংশোধন করে জরিমানা করার ক্ষমতা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেছিল সরকার। চেয়ারম্যানদের দাবির প্রেক্ষিতে ফের জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত। গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশো গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর আওয়তায় গঠিত একটি স্থানীয় মীমাংসামূলক তথা সালিশি আদালতই হলো গ্রাম আদালত।
মন্তব্য করুন