অর্থ আত্মসাৎ ও ভুয়া অ্যাকাউন্টে টাকা লেনদেনের অভিযোগে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তিনি দুদক কার্যালয়ে হাজির হন। এরপর দুদকের সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
গত ১৬ মে জাহাঙ্গীর আলমকে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, ভুয়া ব্যাংক হিসাবে টাকা অবৈধভাবে লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে নোটিশ দেয় দুদক।
পরে ১৮ মে দুদকের তলবে হাজির হতে এক মাস সময় চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে আজ হাজির হতে বলা হয়।
এর আগে গাজীপুরের সাবেক এই মেয়রের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতি তদন্তে দুই সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করার নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে গত ২২ মে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দুদককে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। মেয়রের পদের মেয়াদ পাঁচ বছর; কিন্তু তিন বছরের মাথায় ঢাকা থেকে চিঠি দিয়ে অবৈধভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে কতটুকু আইন অনুসরণ করা হয়েছে, সে বিচার আপনাদের। তিন বছরে আমি সরকারের কাছ থেকে সম্মানী ভাতাসহ অন্য কোনো সুবিধা গ্রহণ করিনি।
গাজীপুরের সাবেক এই মেয়র বলেন, সরকার আমাকে দুটি প্রজেক্টে মাত্র ৬০০-৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল; কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? এটা কাল্পনিক, বানোয়াট ও মিথ্যা। আমাকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করে হয়রানি করা হচ্ছে। যারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন