অবরোধের প্রথম দিনে সড়কে দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল খুব একটা দেখা যায়নি। রাজধানীতেও বিচ্ছিন্নভাবে বাসসহ গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। নৌ-পথেও লঞ্চ চলাচল ছিল তুলনামূলক কম। তবে স্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল।
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কমলাপুর রেল স্টেশনে ৫৬ জোড়া ট্রেনের শিডিউল ছিল। এর মধ্যে বিকেল পর্যন্ত ৩০ জোড়া ট্রেন স্টেশন ছেড়ে গেছে, কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি। তবে স্টেশনে তুলনামূলক যাত্রীর চাপ কম।
কমলাপুর রেল স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ বিন সারওয়ার কালবেলাকে বলেন, স্টেশনে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। মূলত আগে থেকে যারা টিকিট কেটেছিলেন তারাই স্টেশনে এসেছেন। তাৎক্ষণিক টিকিট কাটা যাত্রীর সংখ্যা কম। ট্রেনের শিডিউল নিয়মিত রয়েছে। বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সহিংসতা রোধে রাজধানীর মহাখালী, সায়েদাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনালে মালিক-শ্রমিকদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। গত সোমবার বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে ঢাকাসহ সারা দেশে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চালানোর ঘোষণা দেয় মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ কালবেলাকে বলেন, মানুষ সহিংসতার ভয়ে খুব একটা রাস্তায় নামেনি। যাত্রী সংকটের কারণে পুরোপুরিভাবে যানবাহন চলেনি। তবে রাজধানীসহ আশপাশের জেলাসমূহে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করেছে।
মন্তব্য করুন