জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যা পিয়েরে লাক্রোয়া ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। রোববার (২৫ জুন) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে এই সাক্ষাৎ হয়।
ওই সময় তারা পারস্পরিক কুশল বিনিময় করেন এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে মালি মিশনের বর্তমান অবস্থান ও ওই মিশনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা সর্বাধিক গুরুত্ব পায়।
ভারপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীপ্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগের বিষয়ে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে অনুরোধ করেন।
ওই সময় লাক্রোয়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শান্তিরক্ষী নিয়োগের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ মিশনে পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ এবং বিশেষভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে বাংলাদেশিদের এবং বিশেষ করে নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের বিষয়েও আলোচনা হয়।
ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে ধন্যবাদ জানান। চলতি বছরের ডিসেম্বরে ঘানার রাজধানী আক্রাতে অনুষ্ঠিতব্য পিসকিপিং মিনিস্ট্রিয়াল-২০২৩ এ প্রস্তুতিমূলক সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। উইমেন ইন পিস শীর্ষক সম্মেলনটি বাংলাদেশ, কানাডা ও উরুগুয়ে যৌথভাবে আয়োজন করছে। শান্তিরক্ষী মিশনে জাতিসংঘ গত কয়েক দশকে যে গতিশীল ধারা তৈরি করেছে সেখানে বাংলাদেশ একটি নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে।
এ ছাড়া বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে গত কয়েক বছর ধরে সর্বাধিক সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে প্রথমস্থান অধিকার করে আছে। বাংলাদেশ থেকে পাঠানো এই সদস্য সংখ্যা প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শান্তিরক্ষা মিশনে সিদ্ধান্ত প্রণয়নের যে পদগুলো রয়েছে সেখানেও বাংলাদেশ বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করুন