হরতাল ও অবরোধের মধ্যেও বিআরটিসির ৪০০ ট্রাকসহ অধিকাংশ বাস চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা (বিআরটিসি) আয়োজিত রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
সড়ক সচিব বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যেও বিআরটিসির সেবা বন্ধ নেই। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সেবার মান কীভাবে বাড়ানো যায় এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। যাত্রী সেবা দেওয়াই বিআরটিসির মুখ্য উদ্দেশ্য।
গণশুনানিতে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়াও শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নিয়ে মতামত তুলে ধরেন। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস খান বলেন, বিআরটিসির সেবার মান উন্নত হয়েছে জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। তিনি চালক এবং হেলপারদের মার্জিত ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক বলেন, বিআরটিসির লাল বাসে চড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই এটি খুবই ভালো লাগে। তিনি বিআরটিসির স্টাফ বাসে ভিটিএস চালু করার অনুরোধ জানান। মিডিয়াকর্মী শিমুল খান বিআরটিসি চালকদের ওভারটেকিং না করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, এ অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য সেবার মানকে আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা এবং সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান করা। ২০২১ সালের পূর্বে বিআরটিসি কখনও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে পারেনি জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন পলিসি গ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে বিআরটিসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
ইতোমধ্যে নগর পরিবহন সেবা, মেট্রোরেল সার্ভিস, পর্যটক বাস সার্ভিস সেবা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস সার্ভিস, স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস সেবা চালুর কথা জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান বলেন, যাত্রীদের চাহিদা পূরণে রাজধানীর ২১ ও ২৬ নম্বর রুটে প্রচুর ঘাটতি দিয়ে বাস পরিচালনা করা হচ্ছে। কোরিয়া থেকে ৩৪০টি সিএনজি বাস আসলে আরও উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন