তাপমাত্রা কমে নগরী কিংবা গ্রামে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে অগ্রহায়ণের শীত। রেকর্ড হয়েছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের আলোর দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। দিনভর কুয়াশা থাকছে। বিকেল হলেই হিমেল হাওয়ায় কনকনে শীত বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ০৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় দেশের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তাপমাত্রার বিষয়ে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল: ৯৮ শতাংশ। ঢাকায় সূর্যাস্ত: সন্ধ্যা ৫টা ১২ মিনিটে। আগামীকাল ঢাকায় সূর্যোদয়: ভোর ৬টা ৩২ মিনিটে।
আগামীকাল (১৩ ডিসেম্বর) বুধবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময় রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে। অপরিবর্তিত থাকবে দিনের তাপমাত্রা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পরে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলে ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ার ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি।
মন্তব্য করুন