বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রতিটি ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে : মেয়র তাপস

বংশালের নয়াবাজার এলাকায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি : কালবেলা
বংশালের নয়াবাজার এলাকায় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি : কালবেলা

জনবহুল স্থানে প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করে প্রতিটি ওয়ার্ডেই গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বংশালের নয়াবাজার এলাকায় ‘নয়াবাজার গণশৌচাগার’র উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকায় এক কোটির ঊর্ধ্বে জনগণের বসবাস। সেই প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষত কর্মজীবী নারীদের জন্য গণশৌচাগার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। বংশাল একটি ঐতিহ্যবাহী ও অত্যন্ত জনবহুল একটি এলাকা। যারা এই এলাকায় দূর-দূরান্ত হতে ব্যবসায়িক কাজে এবং কর্মনির্বাহ করার জন্য আসেন, এটি তাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হবে। আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জনগণের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা নির্ণয় করছি। সেই জায়গাগুলোতে আমরা নতুন করে গণশৌচাগার নির্মাণ করে চলেছি। যে জায়গাগুলোতে জনসমাগম রয়েছে, সে সকল জায়গায় প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রতিটি ওয়ার্ডেই আমরা গণশৌচাগার নির্মাণ করব।

এ পর্যন্ত নতুন ৬টি ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৫টি ওয়ার্ডে নতুন গণশৌচাগার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আজকে বংশালের এই গণশৌচাগারসহ আমরা ইতোমধ্যে নতুন করে ৬টি ওয়ার্ডে নতুন গণশৌচাগার উদ্বোধন করেছি। আরও ৫টি ওয়ার্ডে গণশৌচাগার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় অনেক গণশৌচাগার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেকটি দখল অবস্থায় ছিল। আমরা সেগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করে চালু করেছি। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো, প্রতিটি ওয়ার্ডেই অন্তত ১টি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী আমরা সেটা বৃদ্ধি করব।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ তাপস বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তরের পর বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী জানুয়ারি মাস হতে আমরা খাল এবং নর্দমা হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ করে চলেছি। যাতে করে বর্ষা মৌসুমের আগেই সেগুলো পরিষ্কার হয় এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। এ ছাড়াও জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর ও কালুনগর খাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন, সে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, জিরানি খালের ত্রিমোহনী হতে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এখন পূর্ণরূপে খনন, বর্জ্য অপসারণ এবং সীমানা চিহ্নিতকরণ করছি। সীমানা নিশ্চিত করে আমরা সেখানে বেষ্টনী দেব। এ নিয়ে আমাদের পরামর্শকরা কাজ করেছেন। সেখানে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর সৃষ্টি, সবুজায়ন করা হবে। যাতে করে এলাকার জনগণ একটি উপভোগ্য নান্দনিক পরিবেশ পায়। আগামী ২ বছর মেয়াদে এই প্রকল্পের শেষ হবে। আমরা আশাবাদী, এতে করে স্থায়ীভাবে খালগুলো দখলমুক্ত হবে।

পরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস হাজারিবাগ এলাকার ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গরিব-দুস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১০

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১১

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১২

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৩

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

১৪

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১৫

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

১৬

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

১৭

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

১৮

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

১৯

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

২০
X