বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ এখন ভোটাধিকার ফেরত চায়। আর সে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। অথচ বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগেই কে কয়টা সিট পাবে তা ভাগ করে দিচ্ছে। আপনাদের প্রতি জনগণের আর বিশ্বাস নেই। এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হলে অসহযোগ আন্দোলনের বিকল্প নেই। অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারকে বিদায় করা হবে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধন শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তোপখানা রোডে পথচারী, রিকশা চালক-সিএনজি চালক ও যাত্রীদের হাতে ‘ডামি নির্বাচন বর্জন ও সহযোগ আন্দোলনের ডাক’ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, আপনার পুলিশ দিয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে গ্রেপ্তার ও জুলুম করে আপনারা নিজেদের ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করতে পারবেন না। আপনারা দেয়ালের লিখন পড়ছেন না। কিন্তু আমরা বরাবরের মতো আপনাদের অনুরোধ করছি, দেয়ালের লিখন পড়তে শিখুন, জনগণের কথা শুনুন, ডামি নির্বাচনের আয়োজন বন্ধ করুন। নিজেরা পদত্যাগ করুন। পরবর্তীতে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ নির্ধারিত করবে কারা ক্ষমতাসীন হবে, কারা জনগণকে নিয়ে এ দেশ পরিচালনা করবে।
ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, এ স্বৈরাচারকে বিদায় করতে হলে তার সকল কর্মকান্ডে অসহযোগিতা করতে হবে। আজকে কেউ কেউ বলে আপনারা (সরকার) নাকি টেলিফোন লাইন, ইলেক্ট্রিক লাইন কেটে দেবেন। হায়রে বাংলাদেশ! আমরা শুনেছি বঙ্গভবনেও অক্সিজেন বন্ধ করে দেবার বক্তৃতা আপনারা দিয়েছিলেন। কাজেই আপনাদের মুখ থেকেই এ সমস্ত বক্তব্য শোনা যায়। এই কর্মসূচি (অসহযোগ) দীর্ঘদিনের নয়, এই কর্মসূচি অল্প দিনের কর্মসূচি দুই থেকে তিন সপ্তাহের কর্মসূচি। কাজেই কোনো অবস্থাতে ওই গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, ইলেক্ট্রিক লাইন কাটার ভয় দেখাবেন না। এটি কারও বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এটি জনগণের সম্পদ, জনগণ ব্যবহার করবে। জনগণ কোনো হত্যাকারী শাসকের কথায় সব সময় চলবে এটি ভাবা ঠিক না।
এ সময় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-এ্যাব’র রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবর ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, রফিকুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের রাশেদুল হক।
আরও ছিলেন অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নু, মাহবুব আলম, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ খানসহ শতাধিক পেশজীবী নেতা।
মন্তব্য করুন