স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সাথে পরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। বাতাস এমন একটি মাধ্যম যা ধনী-গরিব সবার স্বাস্থ্যের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুদূষণের উপাদানসমূহ যেমন-বস্তুকণা, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড কার্বন, মনোক্সাইডসহ বিভিন্ন দূষণের পরিমাপ করে সেসব দূষণ প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় একটি হোটেলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে যে ধরনের কর্মযজ্ঞ দরকার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে যে কর্মযজ্ঞের কারণে কিছুটা বয়ুদূষণ হচ্ছে। তবে টেকসই উন্নয়নে সরকার পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রকৃতি, বায়ুমান বজায় রেখেই করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। আজকের আয়োজন সে ধরনের ভবিষ্যৎ’ কর্মপন্থা নির্ধারণের সহায়ক বলে মন্তব্য মন্ত্রীর।
তাজুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের যে চিত্র তা সম্ভব হয়েছে শিল্পায়নের ফলে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য। এতে মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা হয়েছে এবং নগরায়ণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, অন্যান্য যে কোনো উন্নত দেশের মতোই আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে নানা রকম পরিবেশগত দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রথম থেকেই যদি আমরা আমাদের পরিবেশ দূষণের বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে আমাদের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের কেমিক্যাল প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. এ শওকাত চৌধুরী।
মন্তব্য করুন