নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই কমছে তাপমাত্রা, বাড়ছে কুয়াশা। শুধু তাই নয়, সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীতে কুয়াশার দেখা মিলছে। শেষ রাতের দিকে এ কুয়াশার তীব্রতা আরও বাড়ে।
কুয়াশার তীব্রতার ফেরি থেকে শুরু করে বিমান চলাচলেও বিঘ্ন হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলদিয়াঘাটে বেশ কয়েক ঘণ্টা নৌযান চলাচল বন্ধ ছিলো।
আবহাওয়া অধিদফপ্তর বলছে, জানুয়ারিতে সারা দেশেই কুয়াশার প্রবণতা বাড়ে। বায়ু প্রবাহের গতি-প্রকৃতি, উষ্ণতা ইত্যাদি কারণে এ সময় কুয়াশার প্রবণতা স্বাভাবিক।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরে ঘন কুয়াশার অন্যতম কারণ হচ্ছে বায়ু দূষণ। শীতের সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়া এবং চলমান উন্নয়ন কাজের ধূলাবালি বাতাসে বেশি থাকে। এছাড়াও গত বছর প্রায় সারাবছরই বায়ু দূষণে শীর্ষ ছিলো রাজধানী ঢাকা। এসব কারণে রাজধানীতে তীব্র কুয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে বছরের শুরুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় পুরো দেশেই ঠাণ্ডা বেড়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী কয়েকদিনে শীত আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে, শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে আগামী কয়েকদিনও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। এছাড়া জানুয়ারিতে আরও একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাতে ও সকালে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস বলছে, চলতি জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকা অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশা কোনো কোনো স্থানে দুপুর পর্যন্ত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। বৃষ্টিপাতও এ মাসে কম হতে পারে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
মন্তব্য করুন