দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠনের অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার শপথের মাধ্যমে দায়িত্ব নিয়েছেন এ সরকারের ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী।
এবারের নির্বাচনের পর ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এর আগেও তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হকের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর, গাজীপুর সদর উপজেলার দাখিণ খান গ্রামে। তার বাবার নাম ডা. আনোয়ার আলী ও মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন।
ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত আ ক ম মোজাম্মেল হক। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক এক মেয়াদে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও দুই মেয়াদে সহসাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গাজীপুর (ঢাকা সদর উত্তর) মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তিনি।
১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৭ বছর ধরে তিনি গাজীপুর জেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অথবা সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সর্বপ্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন এবং ব্রিগেডিয়ার জাহানজেবকে জয়দেবপুর থেকে ফেরত আসতে বাধ্য করেন।
১৯৭৩ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা ৩৫ বছর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ৩ বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান; ৪ বার পৌর চেয়ারম্যান ও মেয়র নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালে পৌর মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে তিনি নির্বাচিত হয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে বিজয়ী হন।
মন্তব্য করুন