যাত্রীর চাপে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে একতা এক্সপ্রেসের। তাই নির্ধারিত সময়ের সাড়ে চার ঘণ্টা পর কমলাপুর থেকে ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
যাত্রীরা জানান, সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর অপরপ্রান্তে রয়েছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার। শেষ পর্যন্ত আড়াইটার পর ট্রেনটি কমলাপুর থেকে ছাড়ে।
ট্রেনের যাত্রী এনায়েত শাওন জানান, যথাসময়ে ট্রেন স্টেশনে না আসায় সম্ভাব্য সময় দেওয়া হয় ১২টা ৩৫। এরপর বলা হয় দুপুর ১টায় ট্রেনটি কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবে। পৌনে ২টা পর্যন্ত ট্রেনটি কমলাপুরে আসেনি।
ঢাকা রেল স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ বিন সারোয়ার বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীদের চাপের কারণে এখনো যমুনা সেতুর ওপারে রয়েছে একতা এক্সপ্রেস। চালু হলেই বোঝা যাবে কয়টার দিকে ঢাকা আসে। ট্রেনটি আসতে বিলম্ব হওয়ার যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।’
একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘ভ্রমণের জন্য পঞ্চগড়ে যাচ্ছি। ঝামেলামুক্ত ভ্রমণের জন্যই ট্রেনকে বেছে নেওয়া। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয় ট্রেন ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি করে দিয়েছে।’
যাত্রী মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি যাচ্ছি পঞ্চগড়, রেলমন্ত্রীর বাড়িও পঞ্চগড়, সেই লাইনে যদি এমন হয় তাহলে অন্যটির কী খবর? যাত্রীর চাপ থাকবে এটা তো স্বাভাবিক। রেল কর্তৃপক্ষ কেন আগে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের এখানে এনে বসিয়ে রাখার মানে হয় না। একটি খুদে বার্তা দিলেই আমাদের বসে থাকতে হতো না।’
ট্রেনের অপর যাত্রী অমরেশ রায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে ট্রেন ছাড়ল। আমরা ৭৫ জন সাংবাদিকের এক টিম যাচ্ছি পঞ্চগড়। উপলক্ষ বদলে যাওয়া এক জেলার উন্নয়নচিত্র তুলে ধরা।’
আরেক যাত্রী মো. হাসিবুল হাছান বলেন, রেলে শিডিউল বিপর্যয় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এই ভোগান্তি থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে এ সমস্যা চলছে। এর একটা সমাধান হওয়া জরুরি। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
মন্তব্য করুন