জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। ফলে এ সকল ক্ষেত্রেও দুদেশের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সুযোগ আছে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে জনপ্রশাসনমন্ত্রী দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামী দিনে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে রূপকল্প-২০৪১, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচিগুলোর সফল বাস্তবায়নে আমাদের দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। ভবিষ্যতেও তাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ভারতের হাইকমিশনার দুদেশের মধ্যকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মাঝে ঐতিহাসিকভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এই সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। হাই কমিশনার এ সময় শিল্প-সংস্কৃতি, অর্থনীতি, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির আশ্বাস প্রদান করেন।
এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক, বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কাউন্সিলর পাওয়ান বাধে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন