শুরু হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে ইউএনডিপি বাংলাদেশ। আগামী সেপ্টেম্বরে দেশে প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। তবে এর আগেই ৩০ জুলাই থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সম্মাননার জন্য অনলাইনে প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, অভিভাবক এবং সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষ সম্মাননা; এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রতি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা পাবেন ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
রোববার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে এই আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান এন গুয়েন, আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সাদাত রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে হলে আমাদের ব্যক্তি, পরিবার, প্রাতিষ্ঠানিক ও সোসাইটি- এই চারটি স্তরে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের এই সাইবার হামলার হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা প্রদান করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যদি কারও অর্থ বা তথ্য চুরি করতে চায় তাহলে সাইবার আক্রমণ করেই চুরি করে নিতে পারে। সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে এখনই সবাইকে সচেতন হতে হবে। ডিজিটাল সাক্ষরতা, সাইবার সুরক্ষা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- এই তিনটি বিষয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি তাদের কারিগরি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আর এই কাজটি করতে হবে সম্মিলিতভাবে। কোনো দেশই একা একা নিজেদের ন্যাশনাল সাইবার স্পেস নিরাপদ রাখতে পারবে না।
‘তথ্য আগামী দিনের অর্থ’ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক তথ্য ফাঁসের ঘটনায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে গঠিত সার্ট থেকে ২৯টি স্পর্শকাতর তথ্য অবকাঠামোর (সিআইআই) সুরক্ষা ও তদারকিতে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেই একটি করে নিজস্ব সার্ট টিম থাকা দরকার। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখা সম্ভব নয়। সার্টের নির্দেশনা না মানা এবং কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা ঘটেছে। হ্যাক নয়, সিস্টেম দুর্বলতার কারণে একটি সরকারি ওয়েবসাইটে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মোচন হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় রোধ এবং ডেটার সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে সতর্কতার সঙ্গে একটি ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ এ http://bicsaa.gov.bd এই ঠিকানায় আবেদন করা যাবে।
মন্তব্য করুন