সাংবাদিকতায় পরিচিত অভিশ্রুতি নামে। কিন্তু লাশ নিতে এসে বাবা জানালেন ভিন্ন নাম। এ নিয়ে চলে জটিল ধাধা। যদিও কাগজে-কলমে বৃষ্টি খাতুন নামের সন্ধান মেলে। আত্মীয় স্বজনরাও জানান একই কথা।
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দ্যা রিপোর্টের সাংবাদিকের লাশ নিয়ে শুক্রবার সারাদিন চলে দোটানা। শেষ পর্যন্ত ফিঙ্গার প্রিন্টে মেলে সমাধান। মিলে যায় জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায় বৃষ্টি খাতুন থেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী কেন?
স্নিগ্ধ ও মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী তথা বৃষ্টি খাতুন। ছিলেন দ্যা রিপোর্ট লাইভের সংবাদকর্মী। পড়াশোনা করতেন ইডেন মহিলা কলেজে। বৃ্হস্পতিবার বন্ধুদের সঙ্গে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে যান। কিন্তু বিধির লিখন কে খণ্ডায়?
কাচ্চি খেতে গিয়ে ফিরলেন লাশ হয়ে। আগুনে পোড়ার চিহ্ন না থাকলেও ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয় তার।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ছিলেন অজ্ঞাতনামা লাশ হিসেবে। দুপুরে বান্ধবি এবং আরেক সংবাদকর্মীর ফোনে দৌড়ে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পৌঁছান বাবা পরিচয়ের সবুজ শেখ।
তিনি এসে জানান তার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। যা শুনে অবাক হয়ে যান সহকর্মীরা। জানান শ্রুতি নামেই চিনতেন তাকে। এমনকি শ্রুতি নিজ থেকেই জানায় তার জন্মস্থান ভারতের বেনারশ।
এ নিয়ে দিনভড় চলে নানা নাটকীয়তা। লাশ হস্তান্তর নিয়ে চলে জটিলতা। অবশেষে জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে মিলে যায় বৃষ্টি খাতুনের ফিঙ্গার প্রিন্ট।
এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায় বৃষ্টি খাতুন থেকে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী কেন? কেনই বা বন্ধু কিংবা কর্মস্থলে পরিচিত ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী হিসেবে? এর উত্তর হয়ত অজানাই থেকে যাবে।
মন্তব্য করুন