দেশে লোডশেডিং এখন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। শনিবার (১০ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এমন দাবি করেন তিনি।
জয় লেখেন, গত ৮ জুন থেকে সারা দেশে ব্যাপক হারে কমেছে লোডশেডিং। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখতে আহ্বান জানান তিনি।
ওই পোস্টে সংযুক্ত ভিডিওতে দাবি করা হয়, গত ৯ জুন লোডশেডিং একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। এদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১২ হাজার ৫৬৮ মেগাওয়াট। ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও রংপুরে লোডশেডিং একেবারেই ছিল না। কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগে উৎপাদনে ঘাটতি হলেও লোডশেডিং দেয়নি জাতীয় লোড ডেসপাচ সেন্টার। বিদ্যুতে ঘাটতি মাত্র ১.০১ শতাংশ ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ডলার সংকট ও কয়লার অভাবে গত ৫ জুন বন্ধ হয়ে যায় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। একই কারণে ৯ জুন বন্ধ হয়ে যায় বাঁশখালী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ধুঁকছিল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রও। এর ফলে দেশজুড়ে বাড়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সূত্র বলছে, কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে। কয়লা আসতে সময় লাগতে পারে অন্তত ২৫ দিন। সে হিসাবে জুনের শেষ সপ্তাহে আবার শুরু হতে পারে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। ঘাটতি পূরণে ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাড়ানো হয় উৎপাদন। পাশাপাশি উৎপাদন শুরু করেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এসএস পাওয়ারও। এরই মধ্যে শনিবার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ২৬ হাজার ৬২০ টন জ্বালানি কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে ভেড়ে চীনা পতাকাবাহী জাহাজ। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২১ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। শুক্রবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে পৌঁছায় জাহাজটি। এরপর সেখান থেকে জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকারেজে ভিড়েছে।
এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার টন ও ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ টন কয়লা এসেছিল মোংলা বন্দর হয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে। ফলে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন